ওয়েব ডেস্ক:   দোকানে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে চা খাচ্ছিলেন তাঁরা। সম্পর্কে বন্ধু, কিন্তু ধর্ম ভিন্ন। আর ধর্ম ভিন্ন হওয়াতেই বিপত্তি। প্রকাশ্যে 'হেনস্থা'র শিকার হতে হল যুগলকে। ধমকানি,  চমকানির পাশাপাশি চড় মারারও অভিযোগ উঠেছে হিন্দু যুব বাহিনীর মহিলা মোর্চার বিরুদ্ধে। যোগীর রাজ্যের এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩২ বছর বয়সী বন্ধুর সঙ্গে পাড়ার দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন আলিগড়ের ওই যুবতী। অভিযোগ, আচমকাই তাঁদের ঘিরে ধরে মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পুলিসের দাবি,  তাদের ঘিরে ধরে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যরা। নাম-ধাম-কূলগোত্র জানার পর দু'জনের সম্পর্ক নিয়ে চলে জেরা। ছেলে বন্ধু মুসলিম জানা মাত্রই ফোন চলে যায় বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী সঙ্গীতা ভরসনের কাছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন তিনি।


এরপর শুরু দ্বিতীয় পর্বের জেরা।  মহিলা মোর্চার নেত্রীকে যুবতী জানান, ছেলেটি তাঁর বন্ধু। নেত্রী ভরসনে বলেন, 'জানো না ছেলেটি মুসলমান। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক গড়া উচিত্ নয়। এই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যত্ নেই।' যুবক তাঁর প্রতিবাদ করায় শুরু হয় মারধর। এরপর যুবতীকে বাড়িতে ফোন করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।


যুগলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।  মেয়েটির পরিবারও গিয়ে হাজির হয় থানায়। আলিগড় পুলিসের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট বলেন, "মেয়েটির পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।"  তবে প্রকাশ্যে অশ্লীল আচরণ করায় ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে হিন্দু যুব বাহিনী।


হিন্দু যুব বাহিনীর স্থানীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা বলেন, '' আমরাও প্রথম এই যুগলকে দেখতে পাই। গত তিন মাস ধরে তাঁদের নৌরঙ্গাবাদে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। পরে জানতে পারি, ছেলেটি মুসলমান ও মেয়েটি হিন্দু।''