নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষপর্যন্ত দল ছেড়েই দিলেন উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের সাংসদ সাবিত্রী বাঈ ফুলে। বেশকিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর সংঘাত চলছিল। তবে ইস্তফা দেওয়ার সময় বলে গেলেন, বিজেপি সমাজে বিভাজন তৈরির করার চেষ্টা করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে ফুলে বলেন, বিজেপি ছাড়ছি। এদেশে সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা ষড়যন্ত্র চলছে। পাশাপাশি দলিত ও পিছড়েবর্গদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-২ মাসের লড়াই শেষ! কুখ্যাত সেই কর্ণের ছোড়া বোমায় জখম এএসআই-এর মৃত্যু


সম্প্রতি রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হনুমানকে নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেন। রাজ্যের এক নির্বাচনী প্রচারসভায় তিনি বলেন, ‘হনুমান ছিলেন দলিত ও বনবাসী।‘ যোগীর ওই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে প্রতিবাদ করে একাধিক হিন্দু সংগঠন। রাজস্থানে যোগীর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। একইসঙ্গে, ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর ঘোষণা করেন, দলিতদের উচিত দেশের সব হনুমান মন্দির দখল নেওয়া ও সেখানে দলিত পুরোহিত নিয়োগ করা।


যোগীর ওই মন্তব্যের পরই মুখ খোলেন দলিত নেত্রী সাবিত্রী ফুলে। তিনি বলেন, হনুমান দলিত ছিলেন এবং তিনি ছিলেন মনুবাদী সমাজের দাস। তিনি রামের জন্য অনেক কিছুই করেছিলেন। তাহলে তাঁর লেজ কেন? তাঁর মুখ কালো কেন? তাঁকে বানরই করা হল কেন? তিনি যখন এতটাই রামভক্ত তখন তাঁকে মানুষ হিসেবেই দেখানো উচিত ছিল। দলিত হওয়ার কারণে তাঁকে বহু অপমান সহ্য করতে হয়েছে। আমরা দলিতরা কি মানুষ নই?


আরও পড়ুন-'অনুমতি দিক বা না দিক, রথযাত্রা হবেই', হুঙ্কার দিলীপের


এখানেই শেষ নয়। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ফুলে। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেন, অযোধ্যায় বিতর্কিতস্থলে বুদ্ধ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। অযোধ্যার বিতর্কিতস্থলে খনন করা হয়েছে। সেখানে বৌদ্ধ আমলের কিছু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে তাই সেখানে বৌদ্ধমূর্তিও স্থাপন করা উচিত।