নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের জন্য ঠিকঠাক নাগরিকপঞ্জি তৈরি ‌তিনিই করেছিলেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের আমলে প্রকাশ করা নাগরিকপঞ্জি নয় ত্রুটিপূর্ণ। এমনটাই দাবি করলেন তরুণ গগৈ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক ‌যখন তুঙ্গে তখন বিজেপি দাবি করেছিল, ওই নাগরিকপঞ্জির ভাবনা আসলে রাজীব গান্ধীর আমলে শুরু হয়। রাজীব গান্ধীর সাহস ছিল না তাই তিনি তা প্রকাশ করতে পারেননি। বিজেপি সভাপতির ওই মন্তব্যের পর এবার নতুন দাবি করলেন গগৈ।


রবিবার তরুণ গগৈ দাবি করেছেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে নাগরিকপঞ্জি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ক্ষমতা থেকে সরে আসার পর বিজেপি সরকার তা বিকৃতি করেছে। সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ তালিকা প্রকাশের ফলেই রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে।’


আরও পড়ুন-বাড়ি বয়ে জোট করতে গিয়েছেন মমতাই, তৃণমূলনেত্রীকে খোঁচা আধীরের


অসমে ৪০ লাখ মানুষের বাদ পড়া নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, ‌যে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হয়েছে তা আসলে খসড়া। নাম তোলার সু‌যোগ এখনও রয়েছে। দেশের নাগরিকদের নাম তালিকা থেকে বাদ ‌যাবে না।


এদিকে, নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করার মধ্যে বিজেপির খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গগৈ। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশের সমস্যা সমাধানের কোনও ইচ্ছেই নেই বিজেপির। বরং এটাকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইস্যু করতে চায় তারা। বিজেপি বরাবরই সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করেছে। ওদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।


উল্লেখ্য, অসমে এতদিন ডি ভোটার বা ডাউটফুল ভোটার বলে এক ধরনের ভোটদাতা ছিল। অভি‌যোগ, এদেরই নির্বাচনে কাজে লাগাত সব দল। তবে গগৈ বলেন, বিজেপি এই ইস্যুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। অহম গণপরিষদও একই কাজ করতে চায়। নির্বাচন এলেই এই ইস্যুটিতে খুঁচিয়ে তোলা হয়। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এসব করা হচ্ছে। বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশিদের সমর্থন করার অভি‌যোগ তুলছে। কিন্তু আমিই একমাত্র প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছিলাম।


আরও পড়ুন-নিউটাউনে ‘সিলিকন ভ্যালি’, রাজ্যের ১০ হাজার কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি


মোট ৩.২৯ কোটি মানুষ নাগরিকপঞ্জিতে নাম তোলার জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ২.৮৯ জনকে ভারতের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাদ পড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। বিরোধীদের দাবি অসমের বাঙালিদের তাড়াতেই নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে মন্তব্য করেছেন, নাম পদবি দেখে নাগরিকপঞ্জি থেকে লোকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশে এক গৃহ‌যুদ্ধের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। মমতার ওই মন্তব্য নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে ‌যায়।