নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে লোকসভার রণকৌশল সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন মোদী-শাহ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। তার আগে নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যগুলিতে যতটা বেশি সম্ভব আসন জয় নিশ্চিত করতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই পাঁচটি বড় রাজ্যের ২০৮টি আসনে নজর গেরুয়া শিবিরের। মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি ও নিতিন গডকড়ি।      


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র- এই পাঁচটি রাজ্যের ২০৮টি আসনকে টার্গেট করেছে বিজেপি। ২০১৪ সালে এই রাজ্যগুলি থেকে ১৯২টি আসন এসেছিল দলের ঝুলিতে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে রণনীতি তৈরি করেছেন অমিত শাহ। 


চলতি বছরের শেষে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ় ও রাজস্থানে বিধানসভা নি্র্বাচন হওয়ার কথা। মধ্যপ্রদেশে ২৯টি লোকসভার আসন। ২০১৪ সালে ২৭টি আসনই পেয়েছিল বিজেপি। মোদী ঝড়ে নিজেদের দুর্গ বাঁচাতে পারেননি কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও কমলনাথ। ছত্তিসগঢ়ে আবার ১১টির মধ্যে ১০টি আসন ভাঁড়ারে পুরেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে রাজস্থানে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। ২৫টি আসনের মধ্যে ২৫টিই জিতে ক্লিনসুইপ করে গেরুয়া শিবির। 


মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ় ও রাজস্থানে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া সামলাতে হবে বিজেপিকে। গড় বাঁচাতে গৌরবযাত্রা শুরু করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। মধ্যপ্রদেশেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নেমে পড়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। পিছিয়ে নেই রমন সিংও। সে রাজ্যে রমনের ছেলের সঙ্গে পানামাকাণ্ডের যোগ তুলে আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন রাহুল গান্ধী। এই তিনটি রাজ্যে বিধানসভার ভোটে বিজেপি প্রত্যাবর্তন না করতে পারলে বিরোধীদের আত্মবিশ্বাস নিঃসন্দেহে বাড়বে। কপালের ভাঁজ চওড়া হবে মোদী-শাহের। 


২০১৪ সালে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় ছিল না বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে অভূতপূর্ব প্রদর্শন করেছে বিজেপি। তবে সেই সাফল্য ধরে রাখা বেশ কঠিন। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে সপা-বসপা-কংগ্রেস।বিরোধীদের মহাজোট কার্যত নিশ্চিত। 


মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, বিজেপি ও এনসিপি-কংগ্রেস জোটের ত্রিমুখী লড়াই হলে লোকসান গেরুয়া শিবিরের। শিবসেনা ও বিজেপির ভোটভাগের ফায়দা পাবে এনসিপি-কংগ্রেস জোট। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই একা লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। মাতোশ্রীতে তাঁর সঙ্গে বন্ধ ঘরে বৈঠক করেও বালাসাহেব পুত্রের মানভঞ্জন করতে পারেননি অমিত শাহ। সবমিলিয়ে পাঁচ রাজ্যের ফলের উপরেই নির্ভর করছে মোদীর প্রত্যাবর্তনের ভবিষ্যত।         


আরও পড়ুন- আগামী বছর অর্থনীতির বহরে ব্রিটেনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত: জেটলি