মোদী নয়, ২০১৯-এর মুখ বেছে ফেলল বিজেপি
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই যে সহজ হবে না তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারা। এসসি-এসটি আইন ও সরকার বিরোধীতার হাওয়া রুখে জয়ের পথ বার করতে এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রেখে কী করে বিরোধী শিবিরে হানা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন বিজেপি নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদী নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন অমিত শাহের নেতৃত্বেই লড়বে বিজেপি। শনিবার দিল্লিতে বিজেপির ২ দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের প্রথম দিনে গৃহীত হল এই প্রস্তাব। এদিন চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি। বৈঠকে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য স্লোগানও বেছে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। 'অজেয় বিজেপি' স্লোগান সামনে রেখে আসন্ন নির্বাচনগুলিতে বিজেপি লড়বে বলে জানা গিয়েছে।
দেশজুড়ে এসসি-এসটি আইন নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে এদিন দিল্লির আম্মেদকর আন্তর্জাতিক সভাগৃহে বাবাসাহেবের ছবিতে পুষ্পার্ঘ দেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে বলেন, ২০১৯-এর নির্বাচনে এই ইস্যুর প্রভাব পড়বে না।
লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তেলেঙ্গানাতেও। ভোটের আগে বিজেপির জোটের প্রস্তাব ইতিমধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছেন টিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও। ফলে তেলেঙ্গানায় পার্টিকে চাঙ্গা করতে নতুন করতে পরিকল্পনা শুরু করেছে বিজেপি।
তবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই যে সহজ হবে না তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপি নেতারা। এসসি-এসটি আইন ও সরকার বিরোধীতার হাওয়া রুখে জয়ের পথ বার করতে এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিজের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রেখে কী করে বিরোধী শিবিরে হানা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন বিজেপি নেতারা।
ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা, মাথা বাঁচাতে হেলমেট পরেই রোগী দেখছেন ডাক্তাররা
ওদিকে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ১ বছরের জন্য বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে প্রস্তাবে। ফলে আরও ১ বছর বৃদ্ধি পেল অমিত শাহের সভাপতিত্বের মেয়াদ। ২০১৯-এর আগে অমিত শাহের দলবল ৩০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করেছে।