নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিশঙ্কু হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে ৭ নির্দল বিধায়কের সমর্থন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। কিন্তু বাকি আসন কোন পথে আসবে এ নিয়ে চলছে বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল হরিয়ানায় ফলাফল স্পষ্ট হতেই ফ্লাইট ধরে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে যান বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্দা এবং নির্দলের রণজিত্ সিং। চার্ডার্ড বিমানে তাঁদের নিজস্বী তুলতে দেখা যায়। এরপরই জল্পনা শুরু হয়, হরিয়ানায় আপাতদৃষ্টিতে ‘কিংমেকার’ দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টির সাহায্য ছাড়াই কি সরকার গড়তে চাইছে বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস, জেজেপির সঙ্গে সমঝোতার পথে যাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।


এই মুহূর্তে বিজেপির সরকার তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন হরিয়ানা লোকহিত পার্টির সুপ্রিমো তথা সিরসার বিধায়ক গোপাল কান্দা। এবারে কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।  এই বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা, জমি কেলেঙ্কারি, আয়বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার মতো ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু সময় জেলেও থেকেছেন। কংগ্রেস জমানায় ভূপেন্দ্র সিং হুডার ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল (আইএনএলডি)-এ যোগদান করেন গোপাল কান্দা।



২০০৯ হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না মেলায় আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়ান তিনি। এবং জয়লাভও করেন কান্দা। সে সময় হুডাও ম্যাজিক ফিগার থেকে কয়েকটা আসন দূরে ছিল। বাধ্য হয়েই গোপাল কান্দার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। মন্ত্রীত্ব পান গোপাল কান্দা।  ২০১২ সালে নিজের এয়ারলাইন সংস্থার এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ সময় গোপাল কান্দাকে মন্ত্রীপদ থেকে সরাতে এবং গ্রেফতারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে বিজেপি। ওই মহিলা এবং তাঁর মা আত্মহত্যায় করায় বিপাকে পড়তে হয় গোবিন্দ কান্দাকে। শেষমেশ তাঁর জেল হয়। ২০১৪ সালে জামিনে ছাড়া পেয়ে নির্বাচনে লড়লে হেরে যান তিনি।


আরও পড়ুন- সাত মাস ধরে ভিন রাজ্যে স্বামী, ‘স্বপ্নে ভালবেসে’ই ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলেন স্ত্রী!


সেই গোপাল কান্দার হাত ধরতে চলেছে এবার বিজেপি। যে বাধ্যবাধকতায় সে দিন ভূপেন্দ্র সিং হুডা কান্দার হাত ধরেছিলেন, আজ তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। এ বার সেই হাত হুডার নয় মনোহরলাল খট্টরের।