নিজস্ব প্রতিবেদন: দুষ্মন্ত চৌটালার সমর্থন পেতেই বিজেপির সরকারিভাবে ঘোষণা, বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্দার হাত ধরছে না দল। স্বচ্ছ সরকার তৈরিতে বদ্ধপরিকর মনোহর লাল খট্টর। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে বিজেপির গলায় এতটা আত্মবিশ্বাস দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার ফল স্পষ্ট হতেই দিল্লি রওনা দেন হরিয়ানা লোকহিত পার্টির নেতা গোপাল কান্দা এবং নির্দল বিধায়ক রণজিত্ সিং।  নিজস্বী তুলে জানান দিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে ‘নিঃশর্তভাবে’ রয়েছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শেষমেশ বিজেপিকে ৬ নির্দল বিধায়ক সমর্থন দেয়। কিন্তু বাধ সাধে গোপাল কান্দার ‘অযাচিত’ সমর্থনে। যদিও তখনও নিশ্চিত ছিল জেজেপি। কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার তৈরি পরিকল্পনা করছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। অতঃপর, গোপাল কান্দার সমর্থন বিজেপির কাছে যে অপরিহার্য ছিল এ কথা বলাই যায়। কিন্তু সিরসার বিধায়কের বিরুদ্ধে রয়েছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। তাঁকে সরকার গঠনে অংশীদার করা যে ঠিক হবে না, এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রাক্তন মন্ত্রী উমা ভারতী। সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিরোধীরাও।



আরও পড়ুন- হরিয়ানায় দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন খট্টরই, আগামিকাল শপথ


২০০৯ হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না মেলায় আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে নির্দল হিসাবে দাঁড়ান গোপাল কান্দা। এবং জয়লাভও করেন তিনি। সে সময় হুডাও ম্যাজিক ফিগার থেকে কয়েকটা আসন দূরে ছিল। বাধ্য হয়েই গোপাল কান্দার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। মন্ত্রীত্ব পান গোপাল কান্দা।  ২০১২ সালে নিজের এয়ারলাইন সংস্থার এক মহিলা কর্মীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী এবং তাঁর মা। এ সময় গোপাল কান্দাকে মন্ত্রীপদ থেকে সরাতে এবং গ্রেফতারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে বিজেপিই। শেষমেশ তাঁর জেল হয়। ২০১৪ সালে জামিনে ছাড়া পেয়ে নির্বাচনে লড়লে হেরে যান তিনি।