নিজস্ব প্রতিবেদন: সেনা জওয়ানের পর এবার বিএসএফ অফিসার। অসমের জোরহাটে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হল বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীকে। এর আগে প্রাক্তন সেনা জওয়ান মহম্মদ সানাউল্লাহকে বিদেশি তকমা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। এবার এবার সেই একই পরিণতি হতে পারে মিজানুরেরও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আমিরশাহীতে আজ সেদেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অব জায়েদ’ পাচ্ছেন মোদী


অসমের জোরহাট জেলার উদয়পুরের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। বর্তমানে বিএসএফের ১৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত রয়েছেন পঞ্জাবে। প্রথামিকভাবে মিজানুর ও তাঁর স্ত্রীকে ডি ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের পাঠানো হয় জোরহাটে এনআরসি ট্রাইবুন্যালে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবুন্যাল।



বিষয়টি জানতে পেরে ছুটি নিয়ে ঘরে ফেরেন মিজানুর। এনআরসি ট্রাইবুন্যালের বিরুদ্ধে গুয়াহাটি আদালতে গিয়েছেন মিজানুর। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ১৯২৩ সালের জমির দলিল রয়েছে আমাদের কাছে। তার পরেও একজন ভারতীয়কে অবৈধ বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাইবুন্যালের কোনও নোটিস আমারা পাইনি। পঞ্চায়েত প্রধানও আমাদের কিছু বলেনি।  


আরও পড়ুন-হারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বহুতল; মৃত ২, নিখোঁজ বহু


অসমে অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করতে তৈরি করা হয়েছে ১০০ ট্রাইবুন্যাল। শীঘ্রই আরও ২০০ এরকম ট্রাইবুন্যাল তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যেই নাগরিকপঞ্জীর খসড় তালিকা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই তালিকায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তার জন্যই গঠন করা হয়েছে ওইসব ট্রাইবুন্যাল।


এদিকে, বিদেশি বলে চিহ্নিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান মহম্মদ সানাউল্লাহর জামিন মঞ্জুর করে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। ৫২ বছরের ওই প্রাক্তন জওয়ান এখনও সেই মামলা লড়ছেন। তার পর এবার একই সমসল্যায় পড়লেন এই বিএসএফ জওয়ান।