ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যপালের ডাকের আশায় বসে আছেন চিনাম্মা আর পনীরসেলভম, দুজনেই। তবে তার মধ্যেই দুই শিবিরে সংঘাতের আবহ। বিধায়কদের জোর করে আটকে রেখেছেন শশীকলা। অভিযোগ পনীর শিবিরের। উল্টোদিকে নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করায় দলের প্রবীণ নেতা মধূসূদননকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে দিয়েছেন শশীকলা। সংঘাতের এই আবহে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তামিল রাজনীতিতে নাটক জমজমাট। আম্মাহীন রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই তুঙ্গে। ভাঙনের মুখে AIADMK. একদিকে জয়ললিতার দীর্ঘদিনের সহযোগী। অন্যদিকে অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম। দুপক্ষই মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। আড়াআড়ি বিভাজন AIADMKতে।


বৃহস্পতিবার পনিরসেলভম-শশীকলা, দুজনেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে আসেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নাটক তুঙ্গে।


আরও পড়ুন - নতুন করে সংঘাতে জড়াল শশীকলা-পনিরসেলভম শিবির


বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পনিরসেলভম অনুগামীরা। তাদের দাবি,  দলের বিধায়কদের একটি রিসর্টে আটকে রাখা হয়েছে। আটক বিধায়কদের মোবাইল বন্ধ। গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে মরিয়া শশীকলাই এই কাজ করেছেন।


যদিও শশীকলা অনুগামীরা অপহরণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, রাজ্যপাল তলব করলেই যাতে হাজিরা দিতে পারেন, তাই রিসর্টে জড়ো হয়েছেন তাঁরা। অনবরত হুমকি ফোন আসার কারণে মোবাইল বন্ধ রেখেছেন বহু বিধায়ক। বিধায়ক অপহরণের অভিযোগে উদ্বিগ্ন মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এবিষয়ে রাজ্যের হলফনামা তলব করেছে আদালত।


আরও পড়ুন - জরুরি অবতরণের দরজা খুলে ফেললেন যাত্রী, অল্পের জন্য রক্ষা দুর্ঘটনা থেকে


শশীকলার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে প্রবীণ AIADMK নেতা ই মধুসুদননের ওপর। দলের দুনম্বর বলে পরিচিত মধুসুদননকে প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও খারিজ করেছেন শশীকলা। শশীকলাকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে মান্যতা না দেওয়ার দাবিতে পাল্টা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন মধুসুদনন। সন্ধে নাগাদ পোয়েজ গার্ডেনের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন শশীকলা।


শশীকলা-পনিরসেলভম সংঘাতে রাজ্যজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর বিধায়ক-অপহরণ জট না কাটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী তলব করতে পারেন বিদ্যাসাগর রাও। তবে পরিস্থিতি যা, তাতে এখনও অ্যাডভান্টেজ শশীকলা। সূত্রের খবর, গরিষ্ঠতা প্রমাণে চিন্নাম্মাকেই আগে সুযোগ দেবেন রাজ্যপাল।