নিজস্ব প্রতিবেদন- তাহলে কি এবার আর ঘোড়ায় চেপে বিয়ে করতে যেতে পারবে না বর? সেরকমই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সারা দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে বহু দেশের চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলেও আমাদের দৈনন্দিন জীবন আর আগের মতো থাকবে না। আমাদের রোজকার জীবনে অনেক কিছুই বদল আসবে। ঠিক যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মানুষের জীবন আমূল বদলে গিয়েছিল। এবার ভাইরাস হানার পরও সেরকমই কিছু একটা হবে। ইতিমধ্যে আমরা সবাই বুঝতে পারছি যে পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। এখন অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার প্রকোপ কবে কমবে তা নিয়ে চিকিৎসকমহল পাকাপাকি কিছু জানাতে পারছে না। আর এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রভাবে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে মানুষের জীবনে। ৫০ জন অতিথির বেশি নিয়ে এখন বিয়ের আয়োজন করা যাবে না। এমন নিষেধাজ্ঞা সরকার আগেই দিয়েছিল। এবার বিয়ের ব্যাপারে আরও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে সরকার। 


সারা দেশে বিয়ের আসরে বর আর হয়তো ঘোড়ায় চেপে বিয়ের আসরে পৌঁছাতে পারবে না। গোটা দেশে এমনই নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই নিয়ে নির্দেশিকা আসবে কিছুদিনের মধ্যে। হাতি, ঘোড়ার মতো কোনও প্রাণীকেই বিয়ের আসরে নিয়ে যাওয়া চলবে না। এছাড়া ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ও ১০ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। এছাড়া কোনো গর্ভবতী মহিলা তাঁর একেবারে নিকট আত্মীয়ের বিয়েতেো সাক্ষী হিসেবে থাকতে পারবেন না।রাত নটার পর বরযাত্রী বা কন্যাযাত্রী যেতে পারবে। আবার ভোর পাঁচটার আগে ফিরে আসতে হবে।


আরও পড়ুন- 'লাদাখ দিয়ে সূচনা, চিনের টার্গেট হাতের ৫ আঙুল,' সতর্কবার্তা তিব্বত প্রধানের


বিয়েতে পাত্র-পাত্রী দুই তরফেই ৩০ জন করে অতিথি হাজির থাকতে পারবেন। এর বেশি সংখ্যক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। সরকারি নির্দেশের অবমাননা করলে ২০০৫ সালে প্রণয়ন হওয়া আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে প্রশাসন। অর্থাৎ পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে বিয়ের আসল মজাটাই চলে যেতে পারে। একসঙ্গে অনেক অতিথি মিলে এক জায়গায় হৈ-হুল্লোড় করার সুযোগ হয়তো আর থাকবে না। আর পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাও এখন জানাতে পারছে না প্রশাসন।