নিজস্ব প্রতিবেদন- ১.৪১ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল ব্রিজ তৈরি করতে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। বছরখানেকের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের কাজও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সেই ব্রিজ দিয়ে আর স্থানীয় মানুষজন চলাচল করতে পারলেন না। ব্রিজ উদ্ধোধন হওয়ার আগেই ভেসে গেল। বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার গোবাবাড়িতে কঙ্কই নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছিল সেই ব্রিজ। দিনকয়েকের মধ্যেই সেটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, ব্রিজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই জন্যই এমন বিপর্যয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত এক মাস ধরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কঙ্কই নদী। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তাঁরা বারবার প্রশাসনের কাছে জলস্তর মাপার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন কথা কানে তোলেনি। ব্রিজের দু কিলোমিটার দূরেই কাঁচা রাস্তা। স্থানীয়রা বলছেন, ওই এলাকায় সব থেকে বেশি পাড় ভাঙতে শুরু করেছিল। কাঁচা রাস্তা সময় মতো পাকা করে দিলে হয়তো ব্রিজ এভাবে ভেঙে পড়ত না। বহুদিন ধরেই ওই এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য দাবি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত বছর জুন মাস নাগাদ প্রশাসন সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। তার উপর ওই এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন জলের তলায়। প্রশাসনের কোনো কর্তার খোঁজ নেই।


আরও পড়ুন-  পুলওয়ামার মতো জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করল সেনা, উদ্ধার ৫২ কেজি বিস্ফোরক


২০১৭ সালে কিষাণগঞ্জের ওই এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সেবার গোবাবাড়ি ও কুন্দেলির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করার সড়ক ভেঙে যায়। তার পর থেকেই এলাকার মানুষ ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করেন। স্থানীয়রা বলছেন, এই ব্রিজ নির্মাণ হলে ছটি এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বর্ষার নদীর জলের স্রোত বেশি হওয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। তবে প্রশাসনিক কর্তারাও মেনে নিয়েছেন, গত এক মাস ধরে নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।