নিজস্ব প্রতিবেদন: লাদাখের উত্তেজনা নিয়ে চিনের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। বরং শনিবার চিন সাফ জানিয়েছে, লাদাখে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না তারা। এরকম এক পরিস্থিতিতে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত রাস্তা তৈরির জন্য রাতদিন কাজ করে কাজ করছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন(BRO)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লেহ পর্যন্ত একাধিক জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেইসব জায়গা সাফ করার পাশাপাশি এলএসি পর্যন্ত সেনার ভারী যানবাহন ও অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার মতো রাস্তা তৈরি করছে  বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন।


আরও পড়ুন-পুলিস কর্মীর সন্তানদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, পরিযায়ী শ্রমিক করে ছাড়বো : দিলীপ ঘোষ


চিন-ভারত সীমানার উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাজের গতিও বাড়ানো হয়েছে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাজের গতি বাড়ানোর জন্য আরও বেশি শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে। রাস্তা তৈরির জন্য একেবার আধুনিক মেশিন ব্যবহার করে কাজের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। শীতের আগেই কাজ যাতে শেষ হয়ে যায় তার জন্য দুটো শিফটে কাজ করছে শ্রমিকরা।


উল্লেখ্য গত ১৫ জুন গালওয়ানে চিনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ সেনা জওয়ান শহিদ হন। তার পর থেকে লাদাখের পরিস্থিতি উত্তেজক হয়ে রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে ও চুশুলের আসেপাশে শক্তি বাড়িয়েছে ভারত। পরিস্থিতি এমনই যে প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার ফোর বরাবর চিনা সেনার মুখোমুখী এখন ভারতীয় সেনা।


ভারত টানা আলোচনার কথা বললেও চিন শুরু থেকেই এলএসি বরাবর ভারী যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। পাল্টা ভারতও মোতায়েন করেছেন টি-৯০ ট্যাঙ্কের মতো অস্ত্র। সবে মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজক। একরম এক পরিস্থিতিতে এলএসিতে কোনও রকম আপাতকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি হচ্ছে সেনা। সেই লক্ষ্যেই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে।


আরও পড়ুন-'দিনে নারী রাতে মদ, বিক্রি হচ্ছে বারাসত জেলা বিজেপির পদ', ঠাকুরনগরে ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল


বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের ইঞ্জিনিয়ার বি কিষাণ সংবাদসংস্থাকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনা ও অন্যান্যরা যাতে ভারী মেশিন সীমান্তে নিয়ে যাতে পারে তার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছে ব্রো। এই কাজে যেসব মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেশের অন্য কোথাও ব্যবহার হয় না। ফলে কাজের গতি বাড়ছে অনেক, ঝুঁকি কমছে।