ওয়েব ডেস্ক: সীমান্তে লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক বাহিনী। এ বার ভারতীয় গ্রামগুলিকে টার্গেট করছে তারা। পাক রেঞ্জার্সের মর্টার হামলায় আজ দুই শিশু-সহ সাম্বায় ছয় এবং রজৌরিতে দুই নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে কুড়ি। BSF-এর পাল্টা জবাবে ধ্বংস হয়েছে চোদ্দোটি পাক সেনা চৌকি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তীব্র গুলিগোলার শব্দে মঙ্গলবার কাকভোরে ঘুম ভাঙে সীমান্তের বাসিন্দাদের। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাক বাহিনীর গোলা বর্ষণে বিপর্যস্ত এ পারের বহু গ্রাম।


আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের লাগাতার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের শিকার আরও ২ শিশু


রজৌরির নৌসেরা, জম্মুর আর্নিয়া ও সাম্বার রামগড় সেক্টরের একাধিক জায়গায় ভারতীয় চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা ও রেঞ্জার্স। পাক বাহিনীর ভারি মর্টার হামলায় রামগড়, আর্নিয়া, নৌসেরায় পাঁচ বছরের দুই শিশু, এক কিশোরী-সহ একাধিক নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিত্‍সা চলছে। সীমান্তের গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে পাক হামলার স্পষ্ট চিহ্ন।


২৯ সেপ্টেম্বর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর প্রায় ৬০ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাক বাহিনী। এবার ভারতীয় সেনা চৌকি ছাড়াও সীমান্তের গ্রামগুলিকে টার্গেট করছে তারা। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সের হামলারও কড়া প্রত্যুত্তর দিচ্ছে BSF। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক পাক ছাউনি। নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের চেষ্টাও ব্যর্থ করছে সেনা।


আরও পড়ুন- জওয়ানদের জন্য দীপাবলির উপহার, মোদী সেনাদের জন্য ঘোষণা করলেন ৫,৫৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ


পাক রেঞ্জার্সের লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন বুঝিয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। এই পরিস্থিতিতে আরেকটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দরকার বলে কোনও কোনও মহল থেকে দাবি উঠছে। যদিও দেশের সুরক্ষায় জওয়ানদের ওপরই ভরসা রাখার কথা বলছে কেন্দ্র।


মঙ্গলবার উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরার আজার গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। শীতের আগে জঙ্গি ঢোকাতে সীমান্তে-নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনা লাগাতার উত্তেজনা তৈরি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।