জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সীমান্ত নিয়ে সংকট সব দেশেরই। ভারতেরও তা বিপুল পরিমাণে। বিশেষত চিন ও পাকিস্তান সীমান্ত নিয়ে ভারত সদা উদ্বিগ্ন থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান-সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে চলেছে ভারত। অচিরেই এই সব অঞ্চলে সাড়ে ৫ হাজার ক্যামেরা বসাবে ভারত। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রধান পঙ্কজ কুমার সিং গতকাল, বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। বার্ষিক সাংবাদিক সম্মেলনে এ খবর জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  ক্যামেরা লাগানো হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা-সহ অন্যান্য নজরদারি যন্ত্র সীমান্তের ওই সব এলাকায় বসানো হবে। কোন কোন এলাকায় ক্যামেরা বসবে, ঠিক করা হচ্ছে তা-ও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এতে কি সীমান্ত সর্বাঙ্গ সুরক্ষিত হবে?


আরও পড়ুন: চুম্বন বিভ্রাট! মালাবদলের পরই চুমু খেয়ে বসলেন বর, কনে ভাঙলেন বিয়ে


না, এসব ব্যবস্থা ড্রোন ঠেকাতে তেমন কার্যকর নয়। পঙ্কজ কুমার সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সীমান্তপার থেকে নানা রকম কাজে ড্রোন পাঠানো হচ্ছে। ড্রোন মারফত নজরদারি যেমন চালানো হয়, তেমনই সহজে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রও পাচার হচ্ছে। ড্রোন ঠেকানো ও তার মোকাবিলা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে পঙ্কজ কুমার বলেন, একশো ভাগ নিশ্চিত হওয়া চলে এমন কোনো উপায়ের খোঁজ এখনও এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাওয়া যায়নি। তবে কম খরচে বেশ কিছু উপায়ের কথা তাঁরা ভাবছেন। পাকিস্তান সীমান্তে তা প্রয়োগ শুরুও হয়েছে। সীমান্ত-নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার সামগ্রিক যে পরিকল্পনা আপাতত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো তারই এক অঙ্গ।


কিছুদিন হল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাজের এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট কার্যকর বলে মনে করে। এর ফলে সীমান্তে অপরাধ রোধ ও অপরাধীদের ধরা সহজ হচ্ছে। সুফলও পাওয়া যাচ্ছে। 


পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময় বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। পঙ্কজ কুমার বলেন, ড্রোন চিহ্নিত করে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর জন্য বিশেষ বাহিনী তৈরি করে তাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন পঙ্কজ কুমার। তিনি বলেন, এই অঞ্চলে অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে মাদক ও অস্ত্র-সহ কিছু জিনিসপত্রের চোরাচালান। তবে সব মিলিয়ে এ সীমান্ত পশ্চিমের তুলনায় ভালো। 


চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান সীমান্তে ১৬টি ড্রোন গুলি করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তেও এই উপদ্রব যথেষ্ট। জানা গিয়েছে, গত বছর পশ্চিম সীমান্তে ১১৪টি ড্রোন দেখা গিয়েছিল। এ বছর এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে ২১৮টি।


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)