আয়কর আইনে বদল করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর মোদী সরকারের
২০১৯ সালের আগে কর্মসংস্থানই পাখির চোখ মোদীর। আয়কর আইনে আসতে পারে বদল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে মেক ইন ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া, মুদ্রা যোজনার মতো প্রকল্প এনেছে মোদী সরকার। আসন্ন বাজেটে কর্মসংস্থান বাড়াতে এবার আইন বদলের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই মোদীর পাখির চোখ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে শুধু প্রকল্প নয়, বরং আইনেও বড়সড় বদল আনতে চাইছে কেন্দ্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আয়করে বাড়তি ছাড় দেওয়া হয়। ভারতেও সেই বন্দোবস্ত রয়েছে। তবে আইনের কয়েকটি শর্ত সেই পথে বাধা তৈরি করছে। বিশেষ করে পরিষেবা ক্ষেত্রে এই সমস্যা প্রবল। জানা গিয়েছে, আয়কর আইনের 80JJJAA ধারায় বদল আনা হবে।
আরও পড়ুন- সব রকম নকসার ১০ টাকার কয়েনই বৈধ, জানাল আরবিআই
২০১৬-১৭ সালে এই ধারাটি সংযোজন করেছিল মোদী সরকার। 80JJJAA ধারায় কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত অতিরিক্ত খরচ ৩ বছর ধরে আয়করে ছাড় মেলে। নতুন চাকরি দেওয়ার বছর থেকেই এই সুবিধা পান নিয়োগকর্তা। তবে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি লেনদেন রয়েছে এমন সংস্থাগুলিই এই আইনে করছাড়ের সুবিধা পায়। এক্ষেত্রে রয়েছে আরও কতগুলি শর্ত। যেমন- প্রথম বছরে কোনও ব্যক্তি ২৪০ দিনের কম চাকরি করলে তা নতুন কর্মসংস্থান হিসেবে বিবেচিত হবে না। কাপড়শিল্পে এই দিন সংখ্যা ১৫০। কোনও ব্যক্তির মাসিক বেতন ২৫ হাজারের বেশি হলে তা অতিরিক্ত খরচ হিসেবে ধরা হয় না।
আরও পড়ুন- বাজেটে ৫ লক্ষের 'মোদীকেয়ার' ঘোষণা করবেন জেটলি?
শিল্প সংস্থাগুলির দাবি, এই আইনে সুবিধা পেতে গেলে কোনও কর্মীতে ন্যূনতম ২৪০ দিন কাজ করাতে হবে। সেক্ষেত্রে জুলাইয়ের পর তো আর নতুন নিয়োগ করা যাবে না। পাশাপাশি ২৫ হাজারের বেশি মাইনে হলে সুবিধা মিলছে না। এতে ধাক্কা খাচ্ছে পরিষেবা ক্ষেত্রে। তাদের দাবি, এই সীমা বাড়িয়ে মাসে ৫০,০০০ টাকা করা হোক। শিল্পমহলের দাবি মেনেই আইনে প্রয়োজনীয় বদল আনার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।