নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রামের মন জয় করেই ২০১৯ সালে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর বাজেটের সিংহভাগ ঘোষণা বরাদ্দ থাকল গ্রাম ও গরিবদের জন্য। গ্রামীণ কৃষি বাজার ঘোষণা থেকে খারিফ ফসলের সহায়কমূল্যের বৃদ্ধি- কৃষক স্বার্থে একের পর এক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন জেটলি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন,''২০২২ সালের আগে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে চান প্রধানমন্ত্রী। খারিফ ফসলের উত্পাদন ব্যয়ের দেড়গুণ বেশি নূন্যতম সহায়ক মূল্য পাবেন কৃষকরা। ফসলের দাম নির্ধারণে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা আনবে নীতি আয়োগ।''


অরুণ জেটলি বলেন, ''কৃষি উত্পাদনের ক্ষেত্রেও এবার ক্লাস্টার মডেলের প্রয়োগ করা হবে। উদ্যানচাষে উত্পাদন ও বাজারিকরণে সুবিধা হবে।খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বাজেট বরাদ্দ ৭১৫ কোটি টাকা থেকে ১৪০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে চাঙ্গা করতে অ্যাগ্রো প্রক্রিয়াকরণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে উত্সাহ দেবে সরকার।''


আরও পড়ুন- বাজেট: বিশ্বের সর্ববৃহত্ স্বাস্থ্য প্রকল্প ঘোষণা মোদী সরকারের


মধ্যস্থতাকারীদের এড়িয়ে কৃষকরা যাতে লাভ করতে পারেন, সে জন্য গ্রামীণ কৃষি বাজারের প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। জেটলি জানান, সরাসরি ফসল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। বন্যা প্রতিরোধে ৫০০ কোটি টাকার তহবিলের প্রস্তাব দিয়েছেন জেটলি।  


জেটলির ঘোষণা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় এলেন মত্স্য ও পশুপালনকারীরাও। পরিবেশ দূষণের মোকাবিলায় ফসলের বর্জ্য সরাতে সাহায্য করবে সরকার।


দিন কয়েক আগেই বনাঞ্চল ছাড়া অন্য এলাকায় বাঁশকে গাছের শ্রেণি থেকে বাদ দিয়েছে মোদী সরকার। বাঁশ উত্পাদন বাড়াতে ১২৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। দেশের ৯৬টি জেলায় মাটির তলা দিয়ে জলসেচ ব্যবস্থায় বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৬০০ কোটি টাকা। গ্রামীণ এলাকায় জীবনযাপনের মানোন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ লক্ষ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন- বেতন বাড়ছে সাংসদদের, আয়করে ছাড় পেল না মধ্যবিত্ত