নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা বাড়িটা কাঁপছে বুঝতে পেরেই তিন মাসের মেয়ে ও দেড় বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে দৌড়ে নীচে নেমেছিলেন নিসার সেখ। কিন্তু বাবা ও স্ত্রী রয়ে গিয়েছিলেন ভেতরেই। তাদের আর বাঁচানো যায়নি। শেষপর্যন্ত চোখের সামনেই ভেঙে পড়ে পাঁচতলা বাড়িটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বনগাঁয় পুলিসের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ঘেঁটে গেলেন ফিরহাদ


বুধবার সকাল পর্যন্ত মুম্বইয়ের ডোংরি তান্ডেল স্ট্রিটে পাঁচতলা বাড়ি ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। এখনও নিখোঁজ অনেকে। অনুমান করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন। উদ্ধারকারী দল দিনরাত কাজ করে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করে চলেছে।



মঙ্গলবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ শতাব্দী প্রাচীন ওই বাড়িটি ভেঙে পড়ে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িটির ভিত আলগা হয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ২০১৭ সালে বাড়িটি খালি করে দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল মুম্বই পুরসভা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন ওই বহুতলের বাসিন্দারা পুরভায় দেখা করে সেটির পুননির্মাণের আবেদন করেছিলেন।



আরও পড়ুন-বনগাঁ পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ তারাই, নথি প্রকাশ করে দাবি বিজেপির


প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকাজে ব্যাহত হচ্ছে। দমকলের ইঞ্জিন, অ্যাম্বুল্যান্স অনেকটাই দূরে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা লাইন করে দাঁড়িয়ে হাতে-হাতে ধবংসাবশেষ সরাচ্ছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “প্রকাণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ভূমিকম্প হল মনে হচ্ছে। বিল্ডিং ভেঙে পড়ল বলে সবাই চিত্কার করছে।”