নিজস্ব প্রতিবেদন: একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর নীতিতেই বিজেপিকে কুপোকাত করল বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার ১০টি বিধানসভা ও ৪টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে ভরাডুবি গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী জোটের কাছে ধরাশায়ী মোদী ম্যাজিক। ২০১৯ সালের লোকসভায় এই মডেলই মোদী বধের টোটকা বলে বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদব। একের বিরুদ্ধে এক টোটকাতেই কামাল করল ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা। আর উপনির্বাচনের ফল একইসঙ্গে শিক্ষা দিল মোদী-শাহ জুটিকে। বিজেপির অনেকেই মনে করছেন, এতে শাপে বরই হল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে হারের ভুল শোধরানোর সুযোগ পাওয়া গেল। ফাইনালে তার পুনরাবৃত্তি হবে না।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯ সালের আগে উপনির্বাচন ছিল বিরোধীদের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ। আর সেই সেই পরীক্ষা লেটার মার্কস পেয়ে পাশ করেছে তারা। উত্তরপ্রদেশের কৈরানায় জিতেছেন আরএলডি-র তবসসুম হাসান। তাঁকে সমর্থন করেছিল সপা, বসপা। ফলে এই জয়ে বিরোধী জোটের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়ল। মহারাষ্ট্রের পালগড়ে সম্মানের লড়াইয়ে শরিক শিবসেনাতে হারাল বিজেপি। ভান্ডারা-গোন্ডিয়ায় আবার হেরেছে তারা। অন্যদিকে নাগাল্যান্ডে জিতেছে বিজেপির শরিক এনডিপিপি। সেই হিসেবে ৪টি আসনের লোকসভা উপনির্বাচনের ফল ২-২। 


১০টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন আবার বড় ধাক্কা দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলকে। উত্তরাখণ্ডে একটি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। অন্যদিকে, মেঘালয়, কর্ণাটক ও পঞ্জাবে জিতেছে কংগ্রেস। বাকি ৬টির মধ্যে সিপিএম, সপা, তৃণমূল ও আরজেডি ১টি করে এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ২টি আসনে জিতেছে। উত্তরপ্রদেশের নূরপুর ও পঞ্জাবের শাহকোটে নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে পারেনি এনডিএ। বিহারের জোকিহাট জেডিইউ-র কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আরজেডি। 
     
তবে উপনির্বাচনের ফলাফলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ''অন্য দলের জন্য তালি বাজাচ্ছে কংগ্রেস। নিজেরাই রাজনীতির মধ্যে নেই। কংগ্রেসকেই বেশি আত্মপর্যবেক্ষণ করতে হবে।''



আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের ফল উল্টে যাচ্ছে নির্বাচনে, পরিসংখ্যান বিজেপির পাশেই