‘বিরোধীরা যত পারে প্রতিবাদ করুক, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না’, সাফ ঘোষণা অমিত শাহের
জেএইউ প্রসঙ্গও টেনে আনেন অমিত শাহ। বলেন, জেএনইউতে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হযেছিল। এদেশে ভারত মাতার বিরুদ্ধে কোনও স্লোগান দেওয়া হলে জেলে ঢুকিয়ে দেব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তোলপাড় গোটা দেশ। বিরোধীরা তো বটেই রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষও। এরকম এক অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফ কথা, সিএএ প্রত্যাহার করব না। বিরোধীরা যতই আন্দোলোন করুক।
আরও পড়ুন-সারাদিন ইউটিউব দেখায় বাবা-মার বকুনি, রাগে আত্মঘাতী রিজেন্টপার্কের দশম শ্রেণির ছাত্রী
মঙ্গলবার সিএএ-র সমর্থনে লখনউয়ে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, বিরাধিতাকে আমরা ভয় পাই না। যে যেভাবেই প্রতিবাদ করুক না কেন, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না।
এদিন তিনি বলেন, সিএএ আনার পর থেকেই রাহুল অ্যান্ড কোম্পানি, বহেন মায়াবতী, অখিলেশজি, মমতা কাউ কাউ করে চলেছেন। সাহস থাকলে তারা প্রমাণ করুণ এই আইন দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এনিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্ক হোক। সিএএ নিয়ে বিরোধীরা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তাই এই আইনের সমর্থনে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে। যারা দেশ ভাঙতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।
আরও পড়ুন-অসমে নাম বাদ গোর্খাদের, CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উষ্মা 'ভীত' দার্জিলিংবাসীর
অমিত শাহ বলেন, দেশভাগের সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈনরা ছিলেন ৩০ শতাংশ। পাকিস্তানে এরা ছিলেন ২৩ শতাংশ। কিন্তু এখন বাংলাদেশে তারা মাত্র ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানে মাত্র ৩ শতাংশ। কোথায় গেলেন এরা! যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাদেরকে এই প্রশ্নটা করতে চাই।
অন্যদিকে, জেএইউ প্রসঙ্গও টেনে আনেন অমিত শাহ। বলেন, জেএনইউতে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া হযেছিল। যারা দেশকে হাজার ভাগ করার কথা বলে তাদের জেলে ঢোকানো উচিত কিনা বলুন! এদেশে ভারত মাতার বিরুদ্ধে কোনও স্লোগান দেওয়া হলে জেলে ঢুকিয়ে দেব।