নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিরোধিতা। উত্তরপ্রদেশে সিএএ-র বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।  দিল্লিতেও টানা প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে শাহিনবাগে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওইসব বিক্ষোভ, ধরনা, হিংসার পেছনে রয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাতে ফোন করে ডাকে কেউ! সকালে বাড়ির অদূরে মিলল যুবতীর অর্ধনগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ


তদন্তকারীদের দাবি পরিকল্পনা করে গোলমাল পাকানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। উত্তরপ্রদেশে এরকম  প্রমাণ নাকি পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত উঠে এসেছে, পিএফআইয়ের নামে খোলা হয়েছে ২৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।  এরর মধ্যে ৯টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের নামে।  এটি পিএফআইয়ের ঘনিষ্ঠ। আবার রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন খুলেছে ৩৭টি অ্যাকাউন্ট।  সবেমিলিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছে মোট ৭৩ অ্যাকাউন্ট। তদন্তকারীরা জানাতে পেরেছেন মোট ১২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ওইসব অ্যাকান্টের মাধ্যমে। খুব কম টাকা রেখে ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য, সিএএ পাস হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে। সেইসব বিক্ষোভের পেছনে পিএফআই রয়েছে বলে দাবি করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিস। শুধু তাই নয় রাজ্য সরকারের তরফে তাদের তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।


ডিজিপির করা সুপারিশে জানানো হয়, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার বহু কর্মী  নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি-র সদস্য। তারাই রাজ্যে সাম্প্রতিক গোলমালের মধ্যে রয়েছে।  প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে রাজ্যে নিহত হয়েছেন ২০ জন। বিক্ষোভ, ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২২ পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে  উত্তরপ্রদেশ পুলিস।


আরও পড়ুন-নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে নাচানাচি, সদ্যোজাতের মৃত্যুতে বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা প্রয়োগ


দেশের মোট ৭টি রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় পিএফআই বা পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের দাবি দেশে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করার ক্ষেত্রে পিএফআইয়ের যথেষ্ট অবদান করেছে। উত্তরপ্রদেশের শামলি, মুজাফফরনগর, মেরঠ, বিজনৌর, বারাবাঁকি, গোন্ডা, বাহারাইচ, বরাণসী, আজমগড় ও  সীতাপুরে সক্রিয় পিএফআই।