‘পশ্চিমবঙ্গ দেশের বাইরে নয়; সংবিধানটা পড়ে নিন মমতা, তাঁর রাজ্যেও লাগু হবে CAA’
শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরিয়ে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, আমরা এনআরসি, সিএএ-এর বিরুদ্ধে। এই আইন প্রত্যাহার করতে বলেছি প্রধানমন্ত্রীকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে বেরিয়ে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, আমরা এনআরসি, সিএএ-এর বিরুদ্ধে। এই আইন প্রত্যাহার করতে বলেছি প্রধানমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন-পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোরে মোদী, বাইরে তীব্র বিক্ষোভ বিরোধীদের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্যের পর বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এনিয়ে সরব হলেন মুখতার আব্বাস নকভি। রবিবার নকভি বলেন, সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে। এই আইন গোটা দেশেই লাগু হবে। পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন কার্যকর করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ইতিহাস ও সংবিধানটা খুব ভালো ভাবে পড়ে নেওয়া। ভারতেরই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তাই সিএএ আইন পশ্চিমবঙ্গেও লাগু হবে।
শনিবার কলকাতা বন্দর-সহ একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগমনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেন। এনিয়েই সরব হলেন নকভি।
আরও পড়ুন-সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে! বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক’ মন্তব্যে জোর বিতর্ক
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি হয়তো এরকম এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলার সময় এটা নয়। কিন্তু সিএএ ও এনপিআর এর বিরুদ্ধে রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ওঁকে বলেছি, আমরা মানুষকে ভাগ করার বিরুদ্ধে। কারও বিরুদ্ধে অত্যাচার হওয়া উচিত নয়। দয়া করা এই আইন তুলে নিন।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদেক বিক্ষোভ সভায় যোগ দেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, সিএএ নোটিফিকেশন শুধুমাত্র কাগজেই থাকবে। এই আইন রাজ্যে বলবতই হবে না। আমরা তা হতে দেব না।