সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে! বেলুড় মঠে প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক’ মন্তব্যে জোর বিতর্ক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সিএএ নিয়ে যুব সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থেই ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেন। তাঁর মন্তব্য, ছোটো ছোটো বিদ্যার্থীরা বুঝে গিয়েছে, আর রাজনৈতিক কারবারীরা বোঝার চেষ্টা করছেন না
নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল বিমানবন্দরে পা দিয়েই সিএএ বিরোধী আঁচ অনুভব করেছিলেন। রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেও বুঝেছিলেন, সিএএ কার্যকরে অনড় তিনি। বিতর্কে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন, দিল্লিতে আসুন, কথা হবে। অর্থাত্ গতকাল দিনভর মহানগরে যে সিএএ-এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল চলে, প্রধানমন্ত্রী গো ব্যাক স্লোগান ওঠে, বাংলায় এসে এ নিয়ে একটাও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, আজ বেলুড় মঠে বিবেকানন্দের জন্মদিন অনুষ্ঠানকেই বেছে নিলেন ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ হিসাবে। বেলুড় মঠ থেকে বিরোধীদের কটাক্ষ ছুড়লেন সিএএ নিয়ে। বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যে জোর বিতর্ক তৈরি হল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সিএএ নিয়ে যুব সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে। বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থেই ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করেন। তাঁর মন্তব্য, ছোটো ছোটো বিদ্যার্থীরা বুঝে গিয়েছে, আর রাজনৈতিক কারবারীরা বোঝার চেষ্টা করছেন না। আসলে, তারা না বোঝার চেষ্টা করছে বলে বিরোধীদের তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ইন্টারনেট বন্ধে মানুষের ‘মৌলিক অধিকার’-ই শুধু খর্ব হয়নি, ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা
এ দিন ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইন কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিচ্ছে না। নাগরিকত্ব প্রদান করছে। ৩ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের দুর্দশার কথা ভেবেই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। মোদী বলেন, সরকার রাতারাতি নাগরিকত্ব আইন আনেনি। অসমের বিক্ষোভ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যের জনজাতির ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপনে কোনও আঘাত আনতে দেবে না এ সরকার। বিরোধীদের ‘প্রচেষ্টা’ ব্যর্থ করার কার্যত অঙ্গিকার নিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাও আবার বেলুড় মঠের মতো অরাজনৈতিক মঞ্চে।