নিজস্ব প্রতিবেদন: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিল করা উচিত সুপ্রিম কোর্টের। দাবি অমর্ত্য সেনের। তাঁর মন্তব্য, এই আইন অসাংবিধানিক। ধর্মের সঙ্গে নাগরিকত্বকে জুড়ে মানুষের মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে ভেদরেখা টানা যায় না।’ অতীতে সংবিধান প্রণয়নের ভারপ্রাপ্ত ‘কনস্টিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি’-তেও এটা স্থির হয়। ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা যাবে না। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অমর্ত্যের বক্তব্য, দেশের আইনে ধর্মীয় ভেদাভেদ করা যায় না। একই সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ স্বীকার করেন, প্রতিবেশী দেশে নিপীড়নের শিকার হওয়া হিন্দুদের ও মানুষের দুঃখ-দুর্দশার বিষয় সহানুভূতির সঙ্গেই দেখা প্রয়োজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

JNU কাণ্ড নিয়ে সরব অমর্ত্য সেন। জেএনইউয়ের ঘটনায় তিনি ‘হতভম্ব’। পুলিশকে জানাতে দেরি করা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিরাগতদের হামলা রুখতে ব্যর্থ। পুলিশও কাউকে ধরতে পারেনি। অথচ যাঁরা মুখোশধারীদের হাতে মার খেলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করেছে পুলিস! বড় বেশি চোখে পড়ছে এই বিচারহীনতা। মন্তব্য অমর্ত্য সেনের। জেএনইউ কাণ্ডে উপাচর্য জগদীশ কুমারকে তাঁ ভূমিকা নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় এবিভিপি-র সঙ্গে তাঁর যোগসাজোশ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।


আরও পড়ুন- সহকর্মীদের ‘ছপক’ ছবির টিকিট কিনে দীপিকাকে সমর্থন জানালেন ডেরেক ও ব্রায়েন



মঙ্গলবার জবাবে জগদীশ কুমার বলেন, জেএনইউ ক্যাম্পাস তর্ক-বিতর্কের জন্য পরিচিত। এখানে সবকিছুই মীমাংসা হয়ে বিতর্ক-আলোচনার মাধ্যমে।  হিংসা কোনও সমাধানই নয়।  ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সব চেষ্টা করা হবে। রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। উইন্টার সেশনের জন্য নাম নথিভূক্ত করতে পারেন পড়ুয়ারা।  যারা রেজিস্ট্রেশনের বিপক্ষে তারা রেজিস্ট্রেশন রুমে ভাঙচুর করেছে। আমার ওপরে হামলা চালিয়েছিল গত ১৪ ডিসেম্বর। যাই হোক, পুরনো সবকিছু পেছনে ফেলে এসো নতুন করে শুরু করা যাক। সব পড়ুয়াদেরই বলছি, জেএনইউ নিরাপদ জায়গা।  ক্যাম্পাসে ফিরে এসো।