জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হয়েছে একটি বাছুরের ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাছুরকে, সেই বাছুরের মজার কাণ্ড দেখে একদিকে যেমন আনন্দ পেয়েছেন হাজার হাজার নেটনাগরিক তেমনি একইসাথে চোখ কপালে উঠেছে তাদের। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে ঝুনঝুনুর চিড়াওয়াতে শ্রী হরিনাম সংকীর্তন সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে প্রভাতফেরির। তার সূত্রেই প্রকাশ্যে এসেছে বাছুরটির এই অবাক করা কাণ্ড। তবে চিড়াওয়ার হরিনাম সংকীর্তন সমিতির সদস্যরা এই ঘটনাকে ঈশ্বরের মহিমা হিসেবেই প্রচার করছেন। হরিনাম সংকীর্তন সমিতির সদস্য কাব্য কেদিয়া মায়া বদনগড়িয়ারা জানান, ২০০০ -২০১৫ পর্যন্ত একনাগাড়ে দীর্ঘ পনের বছর এই প্রভাতফেরির আয়োজন করা হত। তারপর বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে যায়। দেবানন্দ চৌধুরীর নেতৃত্বে মাস পাঁচেক আগেই পুনর্বার শুরু হয়েছে এই প্রভাতফেরি, সেখানেই ঘটেছে এই অবাক করা ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কি আছে সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে?


ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে চিড়াওয়ার হরিনাম সংকীর্তন সমিতির সদস্যরা সকালে প্রভাতফেরির উদ্দেশ্যে পৌঁছে যান শ্রীকৃষ্ণ গোশালায়। ভগবানের নামগানে তখন মাতোয়ারা সেই গোশালা। ঠিক সেইসময় চোখ কপালে তোলার মতো কাজ করে বসে শ্রীকৃষ্ণ গোশালার একটি বাছুর। প্রভাতফেরির সঙ্গে জড়িত সদস্যদের কাছে এসে বাছুরটি নাচতে শুরু করে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এমনটাই। পিঙ্কি কেদিয়া, মুকেশ কাকরানিয়া প্রমুখেরা কখনও উদাত্ত কখনও বা মৃদু কণ্ঠে গাইছিলেন হরে কৃষ্ণ হরে রাম। বাছুরটিও তাদের সেই গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার কোমর দোলাচ্ছিল। সেখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি সম্পূর্ণ ঘটনাটির ভিডিয়ো করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি।


ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে অনেক নেটবাসী যেমন একে ঈশ্বরের অপার মহিমা বলে মনে করেছেন অনেকে আবার নিছক মজা হিসেবেই দেখছেন ঘটনাটিকে। তবে চিড়াওয়ার এই ভাইরাল ঘটনাটিকে কাকতালীয় বলে মানতে নারাজ হরিনাম সংকীর্তন সমিতির সদস্যরা। সমিতির অন্যতম প্রধান দেবানন্দ চৌধুরী জানিয়েছেন ঈশ্বর নামক বিশেষ শক্তির উদাহরন এই ঘটনা। তিনি আরও জানাচ্ছেন প্রতিদিন সকালে ৫.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় তাদের প্রভাতফেরি। প্রায় মিনিট চল্লিশ গোটা শহরের বিভিন্ন অংশে পরিক্রমা করেন তারা, সঙ্গে চলতে থাকে ভগবানের নামগান। এরপর ৬.১০ মিনিট নাগাদ শেষ হয় এই প্রভাতফেরি। দেবানন্দ চৌধুরী ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরেশ মান্দ্রেলিয়াকে। তিনি বলেন, নরেশবাবুর মতো ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির সহায়তার জন্যই তাঁরা তাদের প্রভাতফেরি আবারও শুরু করতে পেরেছেন।   


আরও পড়ুন, Relationship: সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বস্ত কারা বেশি, ছেলেরা না মেয়েরা? গবেষণার ফলে চমকাবেন...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)