ওয়েব ডেস্ক: মীরাটের দুই মহিলার ধর্ষণের ঘটনার পর আজ সামনে এল 'নতুন অভিযোগ'। ধর্ষিতাদের মধ্যে একজন জানালেন, ধর্ষকদের মধ্যে একজন বলেছিল গোমাংস খাওয়ার জন্যই তাঁদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। সমাজকর্মী শবনম হাসমিকে পাশে নিয়ে দিল্লিতে ওই ধর্ষিতার বক্তব্য, "ওরা জানতে চেয়েছিল আমরা গোমাংস খাই কিনা। আমরা বলেছিলাম আমরা খাই না, কিন্তু ওরা বলল, ওই কারণেই (আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে)।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস জানিয়েছে এই 'নতুন অভিযোগের' কথা এর আগে ওই মহিলারা বা তাঁদের পরিবারের তরফে কখনই জানানো হয়নি।  প্রসঙ্গত, মীরাটে গত ২৪শে অগস্ট, বছর কুড়ির এক যুবতী ও তাঁর চোদ্দ বছর বয়সী এক তুতো বোনকে বাড়ির মধ্যেই যৌন নিগ্রহ করা হয়। নিগ্রহের সময় ওই যুবতীর কাকা ও কাকিমাকে বেঁধে রেখে মারধোরও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় হরিয়ানা পুলিস চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ইতিমধ্যেই। ধৃতদের প্রত্যেকের বয়সই তিরিশের কোঠায়। পুলিস প্রথমে শুধু ধর্ষণ ও পাড়িতে জোর করে ঢোকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল, কিন্তু তারপরে স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদের ফলে  খুনের অভিযোগও নথিবদ্ধ করা হয়।


আরও পড়ুন- বেঙ্গালুরুতে বসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ


বর্তমানে, হরিয়ানায় গোহত্যা বেআইনি। গত কয়েক মাস ধরেই হরিয়ানায় গোমাংস নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। স্বঘোষিত গোরক্ষকরা মাঝেমধ্যেই আক্রমণ করছে 'সন্দেহভাজন গোখাদকদের'। গত জুন মাসে গোমাংস বহন করার 'অভিযোগে' মারধর করা হয় এক ট্রাক ড্রাইভারকে।


আরও পড়ুন- স্বামী-স্ত্রীর সম্মতিতেই বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া উচিত বললেন এআইএমপিএলবি-র সহ সভাপতি