নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্ষমা ভিক্ষা করলেও তাঁকে মাফ করবো না। সপা সাংসদ আজ়ম খানের মন্তব্যে তাঁর কড়া অবস্থান জানালেন বিজেপি সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি স্পিকার রমা দেবী। সংবাদ মাধ্যমকে বিজেপি সাংসদ জানান, আজ়ম খান দু’দুবার অধ্যক্ষের চেয়ারকে অসম্মান করেছে। এক, ওই চেয়ারে বসা রমা দেবীর বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করে। দুই, মন্তব্য করার পরও তত্ক্ষণাত্ ক্ষমা না চাওয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন রমা দেবীর আরও অভিযোগ, প্রত্যেক পুরুষের মা, বোন, স্ত্রী রয়েছে। আজ়ম খান শুধু মহিলাদের অপমান করেননি, সমগ্র পুরুষজাতির মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। আজ়ম খানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা অন্যান্য সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। জানা গিয়েছে, সোমবার রামপুরের সাংসদ আজ়ম খানের থেকে নিঃশর্ত ক্ষমাভিক্ষার দাবি করা হবে। যদি তিনি না করেন, তাহলে আরও কঠোরতম শাস্তির ভাবনাচিন্তা করা হতে পারে।


গতকাল লোকসভায় তিন তালাক বিরোধী বিল পাশের সময় আলোচনা চলাকালীন অধ্যক্ষ পদে আসীন সাংসদ রমা দেবীকে অশ্লীল মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ আজ়মের বিরুদ্ধে। রমা দেবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাকে আমার ভাল লাগে। ইচ্ছা হয়, আপনার চোখে চোখ রাখি।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। তাঁর এই মন্তব্যের প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ জানান বিজেপি সাংসদরা।


আরও পড়ুন- অজিত দোভাল কাশ্মীর থেকে ফিরতেই ১০ হাজার জওয়ান মোতায়েন উপত্যাকায়


যদিও আজ়ম খান নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, রমা দেবী আমার ছোটো বোনের মতো। ওনাকে এসব বলতে চাইনি। আজ়মের সমর্থনে সপা সাংসদ অখিলেশ যাদবের দাবি, তিনি অধ্যক্ষের পদকে কখনওই অসম্মান করেননি। বিজেপি সাংসদরা অসভ্য। অযথা জলঘোলা করছে। তবে, এ ধরনের মন্তব্য করে আজ়ম খানের বিতর্কে পড়ার একাধিক নজির রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সময় রামপুরের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী জয়াপ্রদাকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে, ওই কেন্দ্র থেকে জয়াপ্রদাকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে হারিয়ে সাংসদ হন বর্ষীয়ান এই সপা নেতা।