নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে দেশ কোনও নরম মনোভাব দেখাবে না তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার গাজিয়াবাদে সিআইএসএফের এক অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের নীতি যে বদল হয়েছে তা বুঝিয়ে দেন মোদী। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে। অনন্তকাল ধরে সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করব না।’




আরও পড়ুন-


পুলওয়াম হামলার পর পাল্টা জঙ্গিদের ওপর ব্যবস্থা নেওয়ার জোরাল দাবি ওঠে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ওই হামলার পরই মনে করা হচ্ছিল কোনও বড়সড় আঘাত করা হতে পারে জঙ্গিদের ওপরে। সেইমতো ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের মাটিতে বিমানহানা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এপর পরই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সোজাসাপটা বলা শুরু করেন, প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মারা হবে জঙ্গিদের।


আরও পড়ুন-নির্বাচনী প্রচারে সেনাকর্মীদের ছবি ব্যবহার করা যাবে না, নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের


দেশের নিরপত্তার ক্ষেত্রে সিআইএসএফের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জওয়ানদের সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের এক প্রতিবেশী যখন বেপরওয়া, যুদ্ধে ময়দানে নামতে অপারগ তখন ষড়যন্ত্র চালিয়ে তারা দেশকে ভেতর থেকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। ফলে সন্ত্রাসবাদ এখন বিভিন্ন রূপে দেশের সামনে হাজির হয়েছে। এই অবস্থায় দেশরক্ষা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’


স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় সিআইএসএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, ভিআইপি কালচার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। কোনও ভিআইপিকে নিরাপত্তা দেওয়া অনেকটাই সহজ। কিন্তু যে সব প্রতিষ্ঠানে রোজ তিরিশ লাখ মানুষের যাতায়াত তার নিরাপত্তা দেওয়া সহজ নয়।



আরও পড়ুন-সব্যসাচী দত্তের অনুগামীদের উপর হামলা, চলল গুলি


কেরল কিংবা কাশ্মীরে বন্যায় দুর্গতদের উদ্ধারে সিআইএসএফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সেকথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, জাতীয় বিপর্যয়ের ক্ষেত্রেও সিআইএসএফের ভূমিকা অনস্বীকার্য।