গির অরণ্যে মিলল ১১ সিংহের মৃতদেহ, তদন্তের আদেশ গুজরাট সরকারের
রাজ্যে একের পর এক সিংহের মৃত্যু বিপাকে ফেলেছে গুজরাট বন দফতরকে। গত কয়েক দিনে গুজরাটের গির অরণ্যে মৃত্যু হল ১১টি সিংহের। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তের আদেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে একের পর এক সিংহের মৃত্যু বিপাকে ফেলেছে গুজরাট বন দফতরকে। গত কয়েক দিনে গুজরাটের গির অরণ্যে মৃত্যু হল ১১টি সিংহের। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তের আদেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার।
মৃত সিংহদের দেহ মিলেছে গির অরণ্যের পূর্বাঞ্চলের ডালখানিয়া রেঞ্জে। জানিয়েছেন, গির অরণ্যের(পূর্বাঞ্চল) অধিকর্তা পি পুরুষোত্তম। বুধবার একটি সিংহের মৃতদেহ মেলে আমলেরি জেলার রাজুলাতে। পাশাপাশি অন্য তিনটি সিংহের দেহ পাওয়া যায় ডালখানিয়া রেঞ্জে।
আরও পড়ুন-সোপিয়ানে ৩ পুলিসকর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল জঙ্গিরা
পুরুষোত্তম আরও জানিয়েছেন, মৃত সিংহদের ভিসেরার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেইসব নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে জুনাগড়ের পশু হাসপাতালে। সেই রির্পোট আসার অপেক্ষায় রয়েছি। রাজ্যের পশুপালন দফতরের আধিকারির এইচ ভামজা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেই ওইসব সিংহের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংক্রমণের কারণ এখনও জানা যায়নি। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বনের সিংহদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, কয়েকদিনের মধ্যে একসঙ্গে এতগুলো সিংহের মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রাজীব কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন সিংঘগুলির মৃত্যুর কারণ খুঁজতে সরকার তদন্তের আদেশ দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে ৮টি সিংহের মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। বাকি ৩টি সিংহের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রির্পোটের অপেক্ষায় রয়েছি।
আরও পড়ুন-ওড়িশা-অন্ধ্রে তাণ্ডব শুরু ঘূর্ণিঝড় দয়া-র, রাজ্যেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
গুজরাট বন দফতরের এক অধিকর্তা এ কে সাক্সেনারও দাবি বেশিরভাগ সিংহের মৃত্যু হয়েছে বজ্রঘাতে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিংহ শাবক ও সিংঘিদের। গত চার বছরে এই ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ নেই বলেই মনে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গণনা অনুযায়ী গির অরণ্যে সিংহের সংখ্যা ৫২০। দেশের অন্য কোথাও এত সিংহ নেই। ফলে একসঙ্গে ১১টি সিংহের মৃত্যুতে রাজ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। রাজ্যসভার সদস্য পরিমল নাথওয়ানি দাবি করেছেন, সিংহগুলি কোনও বিষক্রিয়া কিংবা চোরা শিকারিদের গুলির শিকার হয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।