নিজস্ব প্রতিবেদন: সুতোয় ঝুলছে পি চিদাম্বরমের ভাগ্য। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের পরই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, বাড়িতে তাঁর দেখা না মেলায় ফিরে যান আধিকারিকরা। হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন খারিজ করে দেওয়ার পরই গ্রেফাতরি রুখতে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন পি চিদাম্বরম। আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল দেখা করেন চিদাম্বরমের সঙ্গে। এরপর তিনি আইনজীবী সিব্বল, সলমন খুরশিদ ও অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ করেন। বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, আজ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট। যার ফলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীদের হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতারের জন্য আদলতে একাধিক বার আর্জি জানান তদন্তকারীরা। তাঁদের আবেদন খারিজ করে আদালত চিদাম্বরমের রক্ষকবচের মেয়াদ বেশ কয়েক বার বাড়ায়।


প্রায় দেড় বছর ধরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। এতে তদন্ত কাজে ব্যাহত হচ্ছে বলে এ দিন ইডি-র আইনজীবীরা জানান। পি চিদাম্বরমের আইনজীবীও পাল্টা যুক্তি দেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখনই তাঁকে তলব করেছে, তিনি ছুটে গিয়েছেন। চিদাম্বরম তদন্তে সব রকমের সাহায্য করেছেন। এরপরও তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কোনও অর্থ হয় না বলে জানান তাঁর আইনজীবী। তবে, এ বার আদলত সেই যুক্তি আমল না দিয়ে কার্যত কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা গেল।


উল্লেখ্য, আইএনএক্স সংস্থাকে ৩০৫ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পি চিদাম্বরমের পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। সে সময় মনমোহন সিং সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদাম্বরম। তাঁর অনুমতিতেই ওই বিনিয়োগ সম্ভব হয় বলে অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য, কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ইডি ও সিবিআই যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। তাঁকে গত বছর গ্রেফতারও করা হয়। ২৩ দিন তদন্তকারীদের হেফাজতে থেকে এখন জামিনে রয়েছেন কার্তি। আইএনএক্স মামলার পাশাপাশি এয়ারসেল ম্যাক্সিস মামলাতেও অভিযুক্ত রয়েছেন কার্তি চিদাম্বরম।