জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছে সংসদের এথিক্স কমিটি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এনিয়ে তৃণমূল সাংসদের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার কথা। তার আগেই এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। এমনটাই এএনআই সূত্রে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তুষারে ঢাকা ভূস্বর্গ, ভয়ংকর ঠান্ডায় কাঁপছে কাশ্মীর! তাপমাত্রা কোথাও মাইনাস ৪-এর কাছে...


সংসদের এথিকস কমিটির সুপারিশ ছিল টাকা নিয়ে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার ইস্যুতে যেন মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে একটি তদন্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে লোকপালের নির্দেশেই প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ওই তদন্তের শেষের পরই ঠিক হবে মহুয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে কিনা। প্রাথমিক ওই তদন্তের সময়ে মহুয়াকে আটক বা কোনও রকম তল্লাশি চালাতে পারবে না সিবিআই। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য নথি খতিয়ে দেখা বা তৃণমূল সংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআই ওই রিপোর্ট জমা দেবে লোকপালের কাছে।



উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিষয়টি সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন। অন্যদিকে, নিশিকান্ত দুবে বিষয়টি লোকপালকে জানান। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরি অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া মৈত্র।


প্রসঙ্গত, ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্টে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, 'লোকসভার পোর্টালের  লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়। স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'।



অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যমে সিবিআই তদন্তের বিষয়টি প্রচার হতেই মহুয়া মৈত্র ট্যুইট করে লেখেন, লোকপাল বা সিবিআই কেউই সরকারিভাবে সিবিআই তদন্তের কথা বলেনি। সূত্রের উপরে ভিত্তি করে মিডিয়া এসব লিখছে। আশাকরি আদানিদের ১৩,০০০ কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারি সিবিআইয়ের কাছে গুরুত্ব পাবে।


মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিবিআই বা লোকপাল হোক সবই বিজেপির কুক্ষিগত। বিজেপি নেতারা তো কদিন আগেই বলেছেন সিবিআই তদন্ত হবে। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বললে ঠিক আছে। কিন্তু আদানিদের বিরুদ্ধে কিছু বললে বিজেপিতে সহ্য করতে পারবে না! ব্যবস্থা নিতেই হবে!


অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আবার ওই একই চিত্রনাট্য। অর্থাত্ বিজেপির চক্রান্ত। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া বিজেপির এই চক্রান্ত সফল হবে না। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি যেটা করছে তা হল প্রতিহিংসার রাজনৈতির একটি অংশ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)