নিজস্ব প্রতিবেদন: বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন নাগেশ্বর রাও। এরই মধ্যে আরও এক কাণ্ড। অপসারিত সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার  বাড়িতে নজরদারি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ৪ ব্যক্তিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে অলোক বর্মার বাড়ির বাইরে থেকে বাড়ির উপর নজর রাখতে দেখা যায় চার জনকে। একটা গাড়িতে করে ওই ৪ জন সেখানে এসেছিলেন।  ২ জন গাড়িতে বসে থাকলেও বাকি ২জন গাড়ি থেকে নেমে অলোক বর্মার বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।


জেরায় ওই ৪ জন নিজেদের ইনটেলিজেন্স ব্যুরো’র অফিসার বলে দাবি করেছেন।  সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিজেদের নামও নাকি বলেছেন তাঁরা। ধৃত ৪ ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী, তাঁরা হলেন  জুনিয়র ইনটেলিজেন্স অফিসার ধীরজ কুমার, জুনিয়র ইনটেলিজেন্স অফিসার অজয় কুমার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কনটেন্ট অফিসার প্রশান্ত কুমার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কনটেন্ট অফিসার বিনীত কুমার।


 যদিও দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক জানিয়েছেন, তাঁরা সত্যি কথা বলছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৩ টে মোবাইল ফোন ও একটা আই প্যাড উদ্ধার হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে তাঁরা অলোক বর্মার বাড়িতে নজর রাখছিলেন সে বিষয়েও জেরা করছে পুলিশ।


প্রসঙ্গত, সিবিআই ডিরেকটরের পদ থেকে অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি। ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অলোক বর্মা। মামলার শুনানি আগামী ২৬ অক্টোবর। নিজের আবেদনে একেবারে মৌচাকে ঢিল মেরেছেন অলোক বর্মা। ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্তে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।     


শীর্ষ আদালতে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেকটর অলোক বর্মা। বুধবার তিনি জানান, রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সংস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পছন্দমত পথে তদন্ত না এগানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সেন্টার ভিজিল্যান্স কমিশন ও কেন্দ্রের পদক্ষেপ বেআইনি। দেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্কার স্বাধিকার ও স্বাধীনতার উপরে আঘাত করা হয়েছে।