নিজস্ব প্রতিবেদন: সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের জমা দেওয়া মুখবন্ধ খামের রিপোর্টের কপি অলোক বর্মার হাতে তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মাকে বলা হয়েছে, সিভিসি রিপোর্টের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে তাঁর জবাব সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারি আইনজীবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সিভিসির রিপোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করেছে, সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখতে সিভিসির রিপোর্ট এবং তাদের জবানবন্দি গোপন রাখা বঞ্ছনীয়। পরবর্তী শুনানি হবে মঙ্গলবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিভিসির রিপোর্টে অলোক বর্মার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিপোর্টে তদন্তকে ছোটো, মাঝারি এবং গুরুতর হিসাবে ভাগ করা হয়েছে। সিভিসি আদালতকে জানিয়েছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। অর্থাত্ ছুটিতে থাকা সিবিআই অধিকর্তাকে আজ ‘ক্লিনচিট’ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। পাল্টা সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীনের এই তদন্তের বিষয়ে অলোক বর্মার জবাব। জানুয়ারিতে অবসর নিচ্ছেন অলোক বর্মা। এই মুহূর্তে ছুটিতে থাকায় দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি চাইছেন তিনি।


আরও পড়ুন- ঘুর্ণিঝড় গাজায় লণ্ডভণ্ড তামিলনাড়ু; মৃত ১১, সরানো হল ৭৬,০০০ মানুষকে


উল্লেখ্য, গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে অলোক বর্মার অভিযোগের তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় সিভিসি। রিপোর্ট দেরিতে জমা দেওয়ায় সিভিসিকে ভর্তসনা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতি কার্যত ধমকের সুরে এ দিন বলেন, “আবেদন নথিভুক্ত করার জন্য রবিবার অফিস খোলা ছিল। কিন্তু আপনারা আসেননি। এমনকী জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেননি।” দেরি হওয়ার কারণে ক্ষমা চেয়ে নেন সিভিসি-র আইনজীবী তুষার মেহতা। 


আরও পড়ুন- আয়াপ্পা ভক্তদের তুমুল বিক্ষোভ, সবরীমালার পথে বিমানবন্দরেই আটকে সমাজকর্মী তৃপ্তি


গত মাসে ঘুষ কাণ্ডের বিবাদ জেরে সিবিআইয়ের অধির্কতা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অলোক বর্মা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, অলোক বর্মার অভিযোগের তদন্ত করবে সিভিসি। তবে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে। পাশাপাশি নাগেশ্বর রাও ইতিমধ্যে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার একটি রিপোর্টও জমা দিতে হবে। যদিও শুক্রবার নাগেশ্বরের রিপোর্টের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আশা করা যাচ্ছে মঙ্গলবারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।