ওয়েব ডেস্ক : রেলমন্ত্রী থাকাকালীন IRCTC-র টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে এবার লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল CBI। ২০০৬ সালে রাঁচি ও পুরীর দুটি হোটেলে IRCTC-র টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বিহারে এবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ওপর চাপ বাড়তে শুরু হয়েছে, RJD-এর সঙ্গে তাদের জোট নিয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদিকে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে সমর্থন করেননি নীতীশ। তাঁর দল JD(U)-এর দাবি, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে বিরোধীরা নিজেদের মধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই বিরোধীদের সঙ্গে যেতে তারা রাজি নয়। বরং, NDA প্রার্থীকেই সমর্থন জানানো তাদের কাছে শ্রেয় বলে মনে করছেন নীতীশ। অন্যদিকে, লালু প্রসাদের নেতৃত্বাধীন RJD-র সমর্থন বিরোধী প্রার্থী মীরা কুমারের দিকেই।


আরও পড়ুন- লালু ডাকলেই 'বিজেপি হঠিয়ে দেশ বাঁচাতে' যাব, বার্তা নীতিশের


সেখান থেকেই শুরু! ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে যে দুচি দল গাঁটছড়া বেঁধে BJP-কে কার্যত পর্যদস্তু করে ক্ষমতায় আসে ও আগামী ৫ বছর রাজ্যের স্বার্থে সহাবস্থান করবে বলে ঠিক করেছিল, আজ দু'বছর পরই তাদের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব। অন্তত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তাই ধারণা।


রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাথী সমর্থন নিয়ে যতটা জলঘোলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে, এবার দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তার থেকেও অনেক বেশি বাড়তে শুরু করবে এই দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্যের স্বার্থে দুই দলের অবস্থান নিয়ে। সরাসরি না হলেও ঘুরিয়েই বিরোধী দলগুলির প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ সরকার।


এদিকে, আজ সকাল থেকেই রাঁচি, পুরী সহ একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাসি। বিশেষ করে ২০০৬ সালে রাঁচি ও পুরীতে BNR হোটেলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডাকা টেন্ডারের তদন্তে মিলেছে বিস্তর অসংগতি। তার জেরেই আজ তত্‍কালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।