ওয়েব ডেস্ক:  ৪০০ অনুগামীকে কেন বেআইনি পদ্ধতিতে  জোর করে নীর্বিজকরণ করা হয়েছিল ডেরায়? রাম রহিমের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। আদালত থেকে বিশেষ অনুমতি গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রোহতক জেলে রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারীরা। তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দীপাবলির আগেই সুখবর, বিশাল অঙ্কের বেতন বৃদ্ধি অধ্যাপকদের


ডেরার সাধ্বীদের ধর্ষণের অভিযোগের পাশাপাশি রাম রহিমের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। গুরমিত জেলে যাওয়ার পর থেকেই ডেরায় দীর্ঘদিন ধরে ঘটে যাওয়া একের পর এক কেচ্ছা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে ডেরার এক অন্ধকার দিক। জানা যায়, মহিলারা তো নির্যাতিত হতেনই, পুরুষদের উপরও চলত অকথ্য শারীরিক অত্যাচার। অভিযোগ, সিরসাতে ডেরার হেডকোয়ার্টারে ৪০০ অনুগামীকে ধরে ধরে অবৈজ্ঞানীক পদ্ধতিতে নীর্বিজকরণ করিয়েছিলেন রাম রহিম। ডেরা থেকে নীর্বিজকরণ করার বেশ কিছু খতরনাক অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিস।


জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তার কোনও অনুগামীর সঙ্গে যাতে সাধ্বীদের শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হতে না পারে, সেই কারণেই এক কাজ করত রাম রহিম। যদিও রাম রহিমের দাবি, নীর্বিজকরণের ফলে নাকি মোক্ষ লাভ করা যায়, ইশ্বরের বেশি কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, ওই ৪০০ অনুগামীকে এই অছিলাতেই নীর্বিজকরণ করতে বাধ্য করেছিল রাম রহিম। এই অনুগামীরা মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান থেকে ডেরায় এসেছিলেন। 


আরও পড়ুন: 'আমিই মাস্টারমাইন্ড', জেরায় ভেঙে পড়লেন হানিপ্রীত