রাফালের ফাইল অলোক বর্মার হাতে থাকার খবর মিথ্যা, জানাল সিবিআই
রাফাল তদন্ত ধামাচাপা দিতে অলোক বর্মাকে মাঝরাতে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ রাহুল গান্ধীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল তদন্ত করছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা অলোক বর্মা, এমন দাবি নস্যাত্ করল সিবিআই। সিবিআইয়ের ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার সিবিআইয়ের অধিকর্তা ও তাঁর ডেপুটিকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেস অভিযোগ করে, রাফাল তদন্তের প্রমাণ নষ্টের জন্যই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বর্মা। তবে সিবিআইয়ের মুখপাত্র অভিষেক দয়াল স্পষ্ট করলেন, এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। এটা মিথ্যা।
তার আগে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, মাঝরাতে সিবিআই প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার তদন্তে আতঙ্কিত মোদী। রাহুল আরও বলেন,''প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, ওনার ভয় ছিল যে উনি ধরা পড়ে যাবেন। শুধু তাই নয় রাফাল দুর্নীতি নিয়ে যে সব তথ্য প্রমাণ রয়েছে তাও চাপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিবিআই প্রধানের ঘর সিলও করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যেসব তথ্যপ্রমাণ ছিল তাও আটকে দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি তা প্রকাশ করে দিতে না পারেন। পাশাপাশি এমন একজনকে নিয়োগ করা হয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। কারণ তা হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর ফলে রাফাল দুর্নীতির কোনও তদন্ত হবে না''।
সিবিআই ডিরেকটরের পদ থেকে অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি। ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অলোক বর্মা। মামলার শুনানি আগামী ২৬ অক্টোবর। নিজের আবেদনে একেবারে মৌচাকে ঢিল মেরেছেন অলোক বর্মা। ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্তে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শীর্ষ আদালতে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেকটর অলোক বর্মা। বুধবার তিনি জানান, রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সংস্থার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পছন্দমত পথে তদন্ত না এগানোর জন্যই এমনটা করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সেন্টার ভিজিল্যান্স কমিশন ও কেন্দ্রের পদক্ষেপ বেআইনি। দেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্কার স্বাধিকার ও স্বাধীনতার উপরে আঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- জগন্মোহনের ছুরিকাহতের ঘটনায় কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নাইডুর