রাজীব চক্রবর্তী: আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিত্সক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তার তদন্তের সর্বশেষ স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদরিওয়াল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। ওই মামলায় গত ৭ অক্টোবর চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, আদালতে জানালেন সলিসিটর জেনারেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ব্যাংক থেকে রিটায়ার করার পর NEET-সফল ৬৪-র জয়কিশোর, পড়বেন ডাক্তারি!


সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কারও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা নিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন। এর পাশাপাশি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সময়ে যে আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।


প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রডূড় জানতে চান টাস্কফোর্স কী কাজ করেছে? সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এনিয়ে শেষ বৈঠক হয়েছিল গত ৯ সেপ্টেম্বর। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কাজ কতদূর এগিয়েছে? মেহতার জবাব, আমার মনে হয় টাস্ক ফোর্স যা করবে তা দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ, তাই হয়তো তারা সময় নিচ্ছে। টাস্কফোর্সের কাছে বেশকিছু সুপারিশ জমা পড়েছে। সংখ্যাটা কয়েক হাজার।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক দেশের সব রাজ্য এবং সমস্ত হাসপাতালের কাছে একটি প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রের পরিকাঠামো, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। রাজ্য সরকার তাদের হলফনামা জমা দিল। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনটিএফ-কে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।


রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী  বলেন, রাজ্যের সব হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। আরজিকরে ৯০-৯৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। দেরি হওয়ার কারণ সিবিআইয়ের কাছ থেকে অনুমতি পেতে কিছুটা দেরি হওয়া। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।


আদালতের তরফে বলা হয়, বায়োমেট্রিক এন্ট্রি পদ্ধতি সুনিশ্চিত করতে হবে। পাল্টা রাজ্যের তরফে বলা হয় ৩১ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে।


সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, কাজ শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজ্য যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তা মোটেও ঠিক নয়। চিকিৎসকদের বিক্ষোভের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এনআরএস হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে ১ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জন্য ৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের দেওয়া তথ্যেই গড়মিল। রাজ্য সরকার জানিয়েছে ২৮টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে ১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে অন্যান্য মেডিকেল কলেজ এবং ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আরজিকরের কাজ শেষ হবে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)