নিজস্ব প্রতিবেদন: বাকি পরীক্ষা বাতিল করল সিবিএসই  বোর্ড (CBSE)।  বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয় সিবিএসই-র তরফে। একই পথে হাঁটল ICSE বোর্ডও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সিলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, তামিলনাড়ু, মহরাষ্ট্র এবং দিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি ভয়বাহ হওয়ায় সিবিএসই পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি পেপারের পরীক্ষা নেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় সিবিএসই বোর্ড। এরপরই বিভ্রান্তি তৈরি হয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ভিন্ন। লকডাউন উঠে গেলেও করোনার হানা আরও তীব্রতর হয়েছে দেশজুড়ে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত রাখা যায় কিনা প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অভিভাবকদের একাংশ। গত ১৮ জুন এ বিষয়ে সিবিএসই-কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এক সপ্তাহ সময় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


পরবর্তী শুনানিতে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিচারপতি এ এম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকেও জানতে চায়। সলিসিটর জেনারেল জানান, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। এরপর বৃহস্পতিবার বেলা ২ টো পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর।


আরও পড়ুন- LAC-তে উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখে শক্তিশালী T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করল ভারত


এ দিন সিবিএসই বোর্ডকে সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসা করে, পরীক্ষা না করে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন নির্ধারণে বিকল্প কোনও পথ আছে কিনা! এ বিষয়ে সিবিএসই জানায়, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আগামী দিনে নেওয়া হবে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বোর্ড ICSE বোর্ডের তরফে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্তা জানান, CBSE বোর্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য। আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে সমস্ত পরীক্ষা। পরবর্তীকালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।