সার্ভার রুমে ভাঙচুরই হয়নি, JNU কাণ্ডে তথ্যের অধিকার আইনে চাঞ্চল্যকর তথ্য, মুখে কুলুপ উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুখ বেঁধে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ৫ জানুয়ারির সেই রাত আজও ভোলেনি দেশ। রডের ঘায়ে মাথা ফাটে JNUSU-সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। ঘটনার নেপথ্যে কে? উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: JNU-কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে উপাচার্য। একটি RTI-এর জবাবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সার্ভার রুমে কোনও ভাঙচুর চলেনি। বরং ক্যাম্পাসে হামলার একদিন আগে মেন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের দিনও সার্ভার বন্ধই ছিল। তাহলে ছাত্রদের বিরুদ্ধে সার্ভার কেন সার্ভার রুম ভাঙচুরের অভিযোগ তুললেন উপাচার্য? ফের শোরগোল JNU-তে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুখ বেঁধে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ৫ জানুয়ারির সেই রাত আজও ভোলেনি দেশ। রডের ঘায়ে মাথা ফাটে JNUSU-সভানেত্রী ঐশী ঘোষের। ঘটনার নেপথ্যে কে? উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। তবে উপাচার্য জগদীশ কুমার এতদিন সেই ঘটনার প্রেক্ষিত নিয়ে যে দাবি করেছেন, এবার সেই অভিযোগের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে একটি RTI।
বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষ এবং উপাচার্য দাবি করেছেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বানচাল করতে সেন্টার ফর ইনফরমশনে (CIS) তাণ্ডব চালায় ছাত্ররা। ভাঙা হয় বায়োমেট্রিক সিস্টেম। ৪ জানুয়ারি সার্ভার রুমে তাণ্ডবের অভিযোগে বামপন্থী ছাত্রদের কাঠগড়ায় তোলেন খোদ উপাচার্য। সেই নিয়ে FIR দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ ছিল, সার্ভার রুমে তাণ্ডবের জেরেই CCTV কাজ করেনি।
আরও পড়ুন- মৃত্যুদণ্ডের আসামীকে 'তারিখ পে তারিখ' আর নয়, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি কেন্দ্রের
সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, জানতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইন প্রয়োগ করেন এক সমাজকর্মী। সেই RTI-এর জবাবে একেবারে উল্টো তথ্য দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানো হয়নি, ৩ জানুয়ারি CIS-এর মূল সার্ভার বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরের দিনও বিদ্যুত্ সরবরাহ সমস্যার জন্য সার্ভার কাজ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি যখন ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চলে তখনকার কোনও 'বিস্তারিত' CCTV ফুটেজ পাওয়া যায়নি।
তথ্য সামনে আসতেই ফের তোলপাড়। এতদিন কি তাহলে কর্তৃপক্ষ মিথ্যে বলে এসেছেন? হামলার ছক জেনেশুনেই কর্তৃপক্ষ সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে? প্রশ্ন তুলছেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য অবশ্য এখন অন্য কথা বলছেন। তাঁর দাবি, হামলা নয়, ৩ তারিখ ছাত্রছাত্রীরাই CIS-এ গিয়ে ঝামেলা করে সার্ভার বন্ধ কর দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগের সঙ্গে RTI-এর তথ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক সামনে চলে এসেছে। ক্যম্পাস তাণ্ডবে উপাচার্যও জড়িত, অভিযোগে অনড় পড়ুয়ারা। এবার তাদের অস্ত্র RTI-এর তথ্য।