নিজস্ব প্রতিবেদন: ডলার পিছু টাকাকে চাঙ্গা করতে মরিয়া কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ‘আগ্রাসী ভূমিকা’ নেওয়ার আর্জি জানালো মোদী সরকার। টাকার পতনে সাধারণ মানুষও যে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, তাও শীর্ষ ব্যাঙ্ককে স্মরণ করানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রতি দিনই এ বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে তদারকি চালাচ্ছে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের কটাক্ষ,  দেরিতে হলেও বোধোদয় হয়েছে মোদী সরকারের!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মুম্বই-পটনা-ভারুচে রেল অবরোধ-ব্যবসা বন্ধ করে তুলকালাম বনধ সমর্থকদের


তবে এ বিষয়ে সরকারের হুঁশ না ফিরেও কোনও উপায় ছিল না। একদিকে টাকার দর যেমন তলানিতে ঠেকেছে, তেমনই এর চাপে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে মোদী সরকারের। এর সঙ্গে দোসর হয়েছে জ্বালানির তেলের ছ্যাঁকা। ফলে, টাকার পতন নিয়ন্ত্রণে আনতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি ডলার আনতে অনাবাসী ভারতীয়দের সামনে একগুচ্ছ ‘অফার’ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাঁদের জন্য অভিনব আমানত প্রকল্পের ডালি আনার পরিকল্পনাও চলছে।


আরও পড়ুন- বনধেও বিরাম নেই পতনের, নতুন রেকর্ড গড়ল ডলার পিছু টাকা


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ডলার পিছু টাকার দর কমেছে ১১.৬ শতাংশ। এশিয়া মহাদেশের উল্লেখযোগ্য দেশগুলির মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে কমজোরি ভারতীয় মুদ্রা। এ দিকে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেল চাহিদার তুলনায় কম উত্পাদিত হওয়ায় তা ক্রমশ মহার্ঘ হয়েছে। পাশাপাশি, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে অশোধিত তেলের দামও ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এর দরুন তেল আমদানিতে বেশি ডলার খরচ করতে হচ্ছে ভারতকে। এছাড়া মার্কিন চোখরাঙানির ভয়ে ইরানের থেকে তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে বেশ সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে নয়া দিল্লিকে। উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালে স্বয়ং ভারত সফরে এসে ইরান ইস্যুতে ভারতকে পাশে পাওয়ার 'আশা' প্রকরাশ করে গিয়েছেন।


আরও পড়ুন- হ্যাক ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইট


কেন্দ্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের দর নিয়ন্ত্রণে তারা নিরুপায়। এ দিকে মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুই দেশের উপর নির্ভরশীল অন্যান্য দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি ক্রমশ চওড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এর ফল ভুগতে হচ্ছে ভারতকেও। উল্লেখ্য, দেশের অর্থনীতি পেট্রোপণ্যের দাম ওঠা-নামার উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। অথচ এই মুহূর্তে এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতির কোনও বিকল্প পথ দেখতে না পেয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে অর্থমন্ত্রক ও উপদেষ্টারা। তাই এই মুহূর্তে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির হাল ধরতে একমাত্র সহায় সেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কই। তাই শেষমেশ উর্জিত পটেলেরই শরণাপন্ন হয়েছে মোদী সরকার।