ওয়েব ডেস্ক : নোট বাতিল ইস্যুতে জোড়া চাপের মুখে মোদী সরকার। একদিকে এই ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যও চাপে ফেলে দিল কেন্দ্রকে। পরিস্থিতি এখনও কেন স্বাভাবিক হয়নি? একশ টাকার নোটের কী হল? কেন কমানো হল টাকা বদলের উর্ধসীমা? শীর্ষ আদালতের পর পর প্রশ্নের জেরে রীতিমতে অস্বস্তিতে সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোট বাতিলে ভোগান্তি চলছেই।  ব্যাঙ্কে, এটিএমে, ডাকঘরে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন আম জনতা। রাজনীতির ময়দানে সরকার-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের বক্তব্যেও চাপে পড়ে গেল কেন্দ্র। এই নিয়ে নোট বাতিল ইস্যুতে এক সপ্তাহে দু-বার সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। গত ১৫ তারিখে নোট বাতিলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে  কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এবিষয়ে কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করে সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। আবেদন করা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন দেশের কোনও নিম্ন আদালতে নোট বাতিল সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ করা না হয়। কিন্তু সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি  এ আর দাভের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের সহযোগিতা চাওয়ার অধিকার আছে মানুষের। ব্যাঙ্ক এবং ডাকঘরের সামনে এই দীর্ঘ লাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিস্থিতি এমনই চললে রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ বেঁধে যাবে।


ক্ষুব্ধ আদালত কেন্দ্রকে পাল্টা প্রশ্ন করে, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি কেন? প্রধান বিচারপতির জানতে চান, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হলেও ১০০ টাকার নোটের কি হল? আগের শুনানিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিলেও টাকা বদলের ঊর্ধ্বসীমা ২০০০ টাকায় নামিয়ে দেওয়া হল কেন? সমস্যা কোথায়? এটা কী নোট ছাপানোর সমস্যা? জবাবে কেন্দ্র জানায়, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন ব্রাঞ্চে পাঠাতে সময় লাগছে। ATM-এও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন জরুরি। আরও পড়ুন, নোট ইস্যুতে এবার কেন্দ্রকে ধমক কলকাতা হাইকোর্টের