নিজস্ব প্রতিবেদন - কেরলের সাইলেন্ট ভ্যালিতে গর্ভবতী হাতিকে বিস্ফোরক ভরা আনারস খাইয়ে খুন করেছিল কেউ বা কারা। পুলিস এখনও এই ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারও এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তবে এরই মধ্যে হাতির মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নিশানায় এবার কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, রাহুল আমেঠিতে মানুষের খোঁজ নেননি কোনওদিন। তিনি কেরলের পশু পাখিদের খোঁজ রাখবেন, এমন আশা করা বোকামি। ওয়াইনারের সাংসদ রাহুল গান্ধীকে বাঁচাতে আবার মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, খামোখা রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এমন ঘটনা নিন্দনীয়। গোটা দেশ এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাব্রেকর জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িতদের কোনোভাবেই রেয়াত করা হবে না। তিনি বলেছেন এটা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কাজ। এদেশের সংস্কৃতি কোনও বন্য প্রাণকে এভাবে কষ্ট দিয়ে মারার পক্ষে নয়। পুলিস ও বন দফতর একসঙ্গে ঘটনার তদন্তে নেমেছে।  তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। বন দফতরের কর্মীরা সন্দেহ করছেন, এপ্রিল মাস নাগাদ আরও একটি হাতিকে একইভাবে মারা হয়েছিল। সেই হাতিটির চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল বলে সন্দেহ করছে বন দফতর। তবে সেই হাতির অটোপসি রিপোর্ট এখনও বন দফতরের কর্তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। বোন দফতরের কর্মীরা ওই হাতিটিকে নিকটবর্তী জঙ্গলে দেখতে পায়। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সেই হাতি। তাকে শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেছিলেন বন কর্মীরা। কিন্তু সেটি গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। পরদিন হাতিটির মৃতদেহ খুঁজে পান বন দফতরের কর্মীরা।


আরও পড়ুন- "হাতিটির খুনিদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে," কেরলের তদন্তের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের


প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশুপ্রেমী মেনোকা গান্ধী বলেছেন, দেশের মধ্যে সব থেকে নিষ্ঠুর রাজ্য কেরালা। ওখানে বিষ প্রয়োগ করে কুকুর বা পাখি মারা হয়। আবার নৃশংসভাবে হাতি খুন করা হয়। তিনিও আবার কেরলের সাংসদ রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করেছেন, এই ঘটনার তদন্তে পুলিস কতদূর এগিয়েছে! আদৌ কি দোষীরা শাস্তি পাবে! রাহুল গান্ধী নিজে অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।