নিজস্ব প্রতিবেদন: গত মাসে পাস হওয়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ (সংশোধনী) আইন (ইউএপিএ)-এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে। আজ ওই আইনের বৈধতা পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এর জন্য কেন্দ্রকে নোটিসও পাঠানো হয়। মানবাধিকার কর্মী সজল অবস্তি নয়া ইউএপিএ-এর সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি জানান, ওই আইনের ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি চিহ্নিত করা হলে, নিজেকে প্রমাণ করার মতো সুযোগ নেই। যা সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, গত মাসে ইউএপিএ সংশোধনী বিল পাশ করায় মোদী সরকার। রাজ্যসভায় এই বিলের চরম বিরোধিতা করে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায় বিরোধীরা। উল্লেখ্য, ওই সংশোধনী আইনে, সন্দেহজনক যে কোনও ব্যক্তিকে ‘জঙ্গি’ ঘোষণা করা হতে পারে। আগে শুধুমাত্র সংগঠনকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যেত। এবার কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করলে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এমনকি তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।


আরও পড়ুন- ভাইরাল রাজস্থানে কাশ্মীরি ছাত্রকে গণপিটুনির ভিডিয়ো, তদন্তে নামলেন গোয়েন্দারা


গত বুধবারই জ়ইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজ়হার, লস্কর-ই-তইবার হাফিজ সইদ, জ়াকি-উর-রমমান-লাকভি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে জঙ্গি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এই চার জঙ্গিই এই মুহূর্তে পাকিস্তানের আশ্রয়ে রয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানায় আমেরিকাও। সন্ত্রাস দমনে ওয়াশিংটন এবং নয়া দিল্লি একসঙ্গে লড়াই চালাবে বলে জানানোয় হয় হোয়াইট হাউজ় তরফে।


উল্লেখ্য, কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা করলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আবেদন করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে। ওই আবেদন করতে হবে ৪৫ দিনের মধ্যে। এরপর সেই আবেদন খতিয়ে দেখবে বর্তমান বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সরকারের সচিব স্তরের কমপক্ষে দুই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিয়ে তৈরি করা রিভিউ কমিটি।