নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল ‌যুদ্ধবিমান নিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছে কংগ্রেস। অনেক বেশি দামে ফ্রান্সের কাছ থেকে ওই বিমান কেনার অভি‌যোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাচার শুরু করেছে রাহুল ব্রিগেড। শনিবারই কলকাতায় এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পি চিদম্বরম। এর মধ্যেই নৌসেনার জন্য ১১১টি কপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য সরকার ৪৬,০০০ কোটি টাকা খরচ করবে। এর মধ্যে নৌসেনার জন্য ২১,০০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হবে ১১১টি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার।


আরও পড়ুন-কেরলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল ইতালির বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব


প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কাউন্সিলের বৈঠকে। তার পরেই জানিয়ে দেওয়া হয় ২১,০০০ কোটি টাকার হেলিকপ্টারের বাইরে কেনা হচ্ছে আরও সামরিক সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে ১৫০টি উন্নত ধরনের কামান। খরচ পড়বে ২৪,৮৭৯ কোটি টাকা। ১৫৫ মিলিমিটারের ওই কামান কেনা হচ্ছে সেনাবাহিনীর জন্য।


এদিকে, রাফাল ‌যুদ্ধবিমান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা এখন তুঙ্গে। এতে জড়িয়েছেন অনিল আম্বানিও। ফরাসি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক ভারতকে ৩৬টি রাফাল দেবে ডুসেলডফ। ওইসব বিমান কেনার জন্য ‌যে টাকা ভারত খরচ করছে তার থেকেও অনেক কমে তা পাওয়া ‌যেত বলে দাবি বিরোধীদের। এনিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস।


এদিকে রাফাল কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছে অনিল আম্বানিও। তাদের নাকি রাফালের ‌যন্ত্রাংশ তৈরি করার বরাত দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মুখ খুলেছে রিলায়েন্স গ্রুপ। তারা জানিয়েছে, রাফাল বিমানের যন্ত্রাংশ নির্মাণের বরাত তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন-ঠান্ডা পানীয় দেন গৃহকত্রী! তারপর... বকেয়া টাকা চাইতে গিয়ে বীভত্স অভিজ্ঞতা


প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে তারা বরাত পায়নি বলে স্পষ্ট জানিয়েছে অনিলের সংস্থা। তাদের দাবি, ওই বরাত ফরাসী সংস্থা ডুসেলডফের কাছ থেকে পেয়েছে তারা। অনভিজ্ঞতার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে বরাত দেওয়া হয়নি। চুক্তিপত্রে রফতানি সংক্রান্ত যে শর্ত রয়েছে, তা পূরণ করতে রিলায়্যান্সকে বেছে নিয়েছে ডুসেলডফ। এর পিছনে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কোনও ভূমিকা নেই।


ছবি-প্রতীকী