নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যকে তত্‍পরতা আরও বাড়াতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া চিঠিতে কনটেনমেন্ট জোনে কড়াকড়ি আর নজরদারি, দুইই বাড়াতে বলা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দৈনিক সংক্রমণে পরপর ২ দিন ৩৪ হাজার পার করেছে।  প্রথম পাঁচে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, কর্নাটক, গুজরাট। কোভিডের বেলাগাম বৃদ্ধিতে কেন্দ্রের নতুন মাথাব্যথা আরও চারটি রাজ্য - পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বিহার এবং ওড়িশা। এই ৪ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের নিয়ে প্রথমে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তারপর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়ালের চিঠি। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির অফিসে সেই চিঠি পৌছয়। চিঠিতে বলা হয়েছে- 


কোভিড রুখতে আরও তত্‍পরতার সঙ্গে সক্রিয় হওয়া দরকার।


করোনায়  মৃত্যুর হার যাতে ১ শতাংশের নীচে থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।


দৈনিক প্রতি এক লক্ষে ১৪ জনের কোভিড পরীক্ষা করতে হবে।


সংক্রমণের নিরিখে এখন দেশে নবম স্থানে বাংলা। রাজ্যের ৯টি জেলা কোভিড হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে কয়েক দফা পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।


- যাবতীয় কড়াকড়ির মূল ফোকাস থাকবে কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে। নতুন সংক্রমণের কেস মিললেই নজরদারি বাড়াতে হবে।


- কারা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, তার তালিকা তৈরি করতে হবে অত্যন্ত দ্রুত।


- সেই তালিকাভুক্তদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোয়ারেন্টিন করতে হবে।


- কেস ম্যাপিং করে কনটেনমেন্ট ও বাফার জোন নির্দিষ্ট করা উচিত।


- সেই অনুযায়ী দুই জোনে নজরদারি ও কোভিড টেস্ট আরও বাড়ানো দরকার।


- কনটেনমেন্ট ও নজরদারির কাজে NCC সহ অন্য স্বেচ্ছাসেবীদের কাজে লাগানো যেতে পারে।


- কোভিড ওয়ারিয়র্স পোর্টাল থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের বেছে নেওয়া যেতে পারে।
 
বিহারে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই টিম পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি নীতীশ সরকারকে অতিমারী প্রতিরোধে 
সহযোগিতা করবে বলে খবর।


আরও পড়ুন- 'মডেল' কেরলেই গোষ্ঠী সংক্রমণ, বিজয়নের পর স্বীকারোক্তি শৈলজার