জ্য়োতির্ময় কর্মকার: বন্দে মাতরমকেও এবার বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্র। জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন-র মতোই বন্দে মাতরমকে গুরুত্ব দিতে হবে নাগরিকদের। শনিবার দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাল কেন্দ্র। অর্থাত্ দুই সঙ্গীতকেই সমান মর্যাদার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ, আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় দিল্লি হাইকের্টে একটি পিটিশন ফাইল করেছিলেন। সেখানে তিনি আবেদন করেন, জনগণমন-র মতো বন্দেমাতরমকেও সমান মর্যাদা দেওয়া হোক। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি হলফনামা জমা দিয়েছে আদালতে। সেখানে যা বলা হয়েছে দুটি সঙ্গীতকেই সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। দুটি একই স্তরে রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লোকসভার আগেই পৃথক কোচবিহার রাজ্য! চাঞ্চল্যকর দাবি অনন্ত মহারাজের


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই দুই সঙ্গীতকে একই মর্যদা দেওয়া হয় বললেও এর আগে একাধিকবার এনিয়ে পিটিশন ফাইল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। অর্থাত্ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে জনগণমন-র পরিবর্তে বন্দেমাতরম করার দাবি বারবার উঠেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে গিয়েছে। বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনগুলির তরফে ওইসব ক্ষেত্রে জাতীয় সঙ্গীত জনগণমন-র পরিবর্তে বন্দে মাতরম করার দাবি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় দুটি সঙ্গীতকে সমান মর্যাদা দেওয়ার কোনও সুযোগ সংবিধানে নেই। এর পরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে তা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ আরএসএস বারাবরই বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ ও বন্দে মাতরম গানকে হাতিয়ার করে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ প্রচার করে থাকে। 


কেন্দ্রের ওই হলফনামা নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি যে আমাদের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত কোনওটাই মানে না তা আমরা বারবারই বলেছি। সেটা ওরা প্রকাশ্যে বলতে পারছে না। তাই তা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ওদের বক্তব্য হল একটাই কেন জাতীয় সঙ্গীত হবে, আরও একটা সঙ্গীতকেও সম মর্যাদার করে দিলাম। এনিয়ে কোনও বিতর্কে ঢোকেনি সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় সঙ্গীতকে অমর্যাদা করার একটা মনভাব এখানে স্পষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রের পদক্ষেপে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আরএসএসের কথায় বিজেপি চলছে। স্বাধীনতার ফলে প্রাপ্ত সবকিছু ওরা নষ্ট করতে চাইছে। 


এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, খুবই আনন্দের বিষয়। গোটা দেশে মানুষ যারা ভারত আত্মাকে শ্রদ্ধা করেন তারা সবাই আনন্দ পাবেন। এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। সুজনবাবুর বক্তব্য শুনছিলাম। আজ ভারতের কমিউনিস্টরা যদি এই দেশের সংস্কৃতির প্রতি কিছুটা শ্রদ্ধাশীল হতেন তাহলে তাদের শক্তি বা তাদের নেতৃত্বের চেহারা অন্যরকম হতো। 


  (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)