নিজস্ব প্রতিবেদন: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে কাবু গোটা দেশ। ঝড়ের গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলায়। কিন্তু ভ্যাকসিন কোথায়? কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহে এবার খোলা বাজারেও টিকা বিক্রির ছাড়পত্র দিল মোদী সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরেছে করোনাভাইরাস। শুধু তাই নয়, করোনার ডবল মিউটেন্টের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স  ১৫ থেকে ৪৫ মধ্যে। এমনকী, রেহাই পাচ্ছে না সদ্যোজাত শিশুরাও।


তাহলে উপায়? প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পেয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথসারির করোনা যোদ্ধারা। দ্বিতীয় দফায় যখন প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ উর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ চলছে, তখন ১৮ বছরের পর থেকে সবাইকে এই কর্মসূচির আওতায় আনার দাবি তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের কাছে একই আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। শেষপর্যন্ত সেই পথেই হাঁটল মোদী সরকার। সঙ্গে মিলল খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির ছাড়পত্র।  


আরও পড়ুন: ১৮ বছর থেকে নেওয়া যাবে Covid-19 Vaccine, জানাল কেন্দ্র


এদিন দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মোদী (PM Modi)।  সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে খোলাবাজারেও পাওয়া যাবে ভ্যাকসিন। প্রস্তুতকারক সংস্থা উৎপাদনের ৫০ শতাংশ খোলাবাজারে ও রাজ্যকে বিক্রি করতে পারবে।


 



করোনার টিকা, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও অক্সিজেন চেয়ে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দু'পাতার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চিঠিতে রাজ্যের ও কলকাতার সাম্প্রতিক করোনা চিত্র তুলে ধরেছেন কেন্দ্রের কাছে, তেমনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলেন যে, রাজ্য নিজেদের তহবিল থেকেই বিনা পয়সায় সকলকে করোনা টিকা দিতে চায়, তার জন্য ভারত সরকারের থেকে করোনা টিকা কেনার অনুমোদন তিনি পাননি।  কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তে এবার কিন্তু সরাসরি খোলাবাজার থেকে বা প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্য় সরকারও।