Marital Rape Case: `বৈবাহিক ধর্ষণকে প্লিজ কোনও অপরাধ বলবেন না!`, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি কেন্দ্রের...
Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গ্রাহ্য করা সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতার আওতার বাইরে, দাবি কেন্দ্রের। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় যে বৈবাহিক ধর্ষণ আসলে সামাজিক সমস্যা, আইনের ইস্যু নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৈবাহিক ধর্ষণকে আলাদা করে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দেওয়া উচিত নয় কারণ আরও অনেক উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন কেন্দ্রের। কেন্দ্রের আরও দাবি যে বৈবাহিক ধর্ষণকে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হিসাবে গ্রাহ্য করা সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতার আওতার বাইরে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় যে বৈবাহিক ধর্ষণ আসলে সামাজিক সমস্যা, আইনের ইস্যু নয়। এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে সমাজে।
আরও পড়ুন- Sohini Sarkar: 'মুখ্যমন্ত্রীকে কালীঘাটের ময়না বলাটাও পিতৃতন্ত্রের পরিচয়, এটায় আমার আপত্তি আছে!'
কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হয়, বৈবাহিক ধর্ষণের এই ইস্যু সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সঠিক পরামর্শ ছাড়া বা সমস্ত রাজ্যের মতামত বিবেচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। যদিও কেন্দ্র স্বীকার করেছে যে বিয়ে মানেই যে বিবাহ কোনও মহিলার সম্মতি নেওয়া না নেওয়ায় বাধা নয় এবং যেকোন ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘনের ফলে শাস্তিমূলক পরিণতি হওয়া উচিত, তবে কেন্দ্র আরও যোগ করে যে বিবাহে এই ধরনের সীমা লঙ্ঘনের পরিণতি আর বিবাহ ছাড়া কোনও সীমা লঙ্ঘনের থেকে অবশ্যই আলাদা।
বিয়েতে স্বামী স্ত্রীর একে অপরের কাছে বেশ কিছু যৌন চাহিদা থাকে। কিন্তু সেই চাহিদা কখনও স্বামীকে সেই অধিকার দেয় না যে সে তার স্ত্রীকে যৌনসঙ্গমে বাধ্য করবে। কেন্দ্র বলে, একজন ব্যক্তি যদি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গমে বাধ্য করে তাহলে তাঁকে ধর্ষণ বিরোধী আইনে অপরাধী গ্রাহ্য করা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শাস্তি। 'সংসদ ইতোমধ্যেই বিবাহিত মহিলাদের কনসেন্ট রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। সেই মতো আইনও পাস করানো হয়েছে যেখানে বিবাহিত মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে। মহিলাদের নিরাপত্তায় গার্হস্থ্য হিংসার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তা মহিলাদের সাহায্যেই তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Mt.Everest Height: রোজ আরও লম্বা হচ্ছে এভারেস্ট! তবে কমপ্ল্যান নয়, একটা নদীর জন্য...
"বিবাহে যৌন দৃষ্টিভঙ্গি হল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অনেকগুলি দিকের মধ্যে অন্যতম যার উপর তাদের বিবাহের ভিত্তি তৈরি হয় এবং ভারতের সামাজিক-আইনি পরিমণ্ডলে বিবাহের প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি নির্ধারণ করে। যদি আইনি মতে বিবাহ প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা অপরিহার্য হয়, তাহলে আদালতের তরফে ব্যতিক্রমটি প্রত্যাহার করা উপযুক্ত হবে না,” কেন্দ্র বলেছে।
এর আগে ২ বছর আগে স্মৃতি ইরানি বলেন, প্রত্যেকটি বৈবাহিক সম্পর্কেই হিংসার ঘটনা ঘটে ও প্রত্যেক পুরুষই ধর্ষক, এমন কথা বলা ঠিক নয়। সেই সময় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, 'বর্তমানে ৩০ টি হেল্পলাইন দেশের ৬৬ লাখ মহিলাকে সাহায্য করেছে। বর্তমানে সারা দেশে ৭০৩ টি ওয়ানস্টপ সেন্টার কার্যকরী রয়েছে। যার হাত ধরে ৫ লাখ মহিলা সাহায্য পেয়েছেন। দেশে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)