নিজস্ব প্রতিবেদন: এক দেশ, এক নির্বাচন-এর পক্ষে বরাবরই বলে আসছে বিজেপি। এবার কি সে দিকেই এগোচ্ছে সরকার? এমনই খবর বিজেপি সূত্রে।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে দেশের ১১ রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন করিয়ে নিতে চায় বিজেপি। এক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে না বলেও জানা ‌যাচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের জন্য 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি শিবির থেকে ‘ল কমিশনের কাছে একটি প্রস্তাব গিয়েছে বলেও শোনা ‌যাচ্ছে। 
সোমবার ‘ল কমিশনের চেয়ারম্যান বি এস চৌহান বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন। গত কয়েক মাসে একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছে ‘ল কমিশন। 


সূত্রের খবর, বিজেপি শরিক দলগুলোও লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানোর পক্ষে। তবে ‘ল কমিশন জানিয়ে দিয়েছে একসঙ্গে নির্বাচন করতে গেলে সংবিধান সংশোধন করা 


প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-রাতেরবেলা লুকিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েছিল স্কুলছাত্রী, শিকার হল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার
২০১৯ সালেই লোকসভা নির্বাচন। ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তার অনেকটাই পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ নিয়ে বিরোধীদের সুর চড়ছে। গত কয়েক 


মাসে দেশের একাধিক লোকসভা ও বিধানসভার উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। বিরোধী শিবিরের একাংশ মনে করছে, এটা বিজেপির জন্য একটা 'ওয়েক আপ' কল। ফলে বিজেপি লোকসভার সঙ্গে 


বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করিয়ে নিয়ে পারে তা আগে থেকেই অনুমান করছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তারই তোড়জোড় শুরু হয়েছে।  
এদিকে, একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করার লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করতে গেলে সংসদের উভয় সভাতেই দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। সেই সমর্থন থাকলেই সংবিধান 


সংশোধনের জন্য বিল আনা ‌যাবে। ফলে একসঙ্গে নির্বাচন করানোর প্রক্রিয়া খুব একটা সোজা হবে না সরকারের পক্ষে।
আগামী বছরের মাঝামাঝি বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগঢ. ও মিজোরামে নির্বাচন করাতে হবে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর 


মাসে। এছাড়াও হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডেও নির্বাচন রয়েছে পরের বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। ফলে একসঙ্গে নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে সমন্বয় করার কাজটা বেশ কষ্টকর হবে হলেই মনে করছে 


রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন-৭০ ছুঁল ডলার পিছু টাকার দর, উদ্বেগে শীর্ষ ব্যাঙ্ক
বিজেপি একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন করানোর পক্ষে আদাজল খেয়ে লাগলেও বিরোধী দলগুলি এনিয়ে দুভাগ। দুবছর আগেই এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মোদী। সরকারের ‌যুক্তি ছিল 


একসঙ্গে নির্বাচন করাতে পারলে খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে ‌যাবে। সঙ্গে সময়ও বাঁচবে।
মোদী সরকারের ওই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, তেলুগু দেশম, জেডিএস ও বামেরা। তাদের দাবি একে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ক্ষতি হবে। 


তবে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন দুদফায় করানোর পক্ষেও প্রস্তাব দিয়েছিল। সোমবারও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ একসঙ্গে নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, বিরোধীরা একসঙ্গে 


নির্বাচনের বিরোধিতা করছে রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে।