নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশে কমপক্ষে ২০ কোটি মানুষ ব্যবহার করেন হোয়াটসঅ্যাপ এর মতো সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এবার জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি অন্যান্য ‌যেসব সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম আপত্তিকর মেসেজ ও ভুল তথ্য ছড়ানো রোখার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেবে না তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মিলল সরকারের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মা হতে চেয়েছিলেন! 'প্রেম' বাঁচিয়ে রাখতে স্ত্রী-কেই সরিয়ে দিলেন স্বামী


হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গুজবের ওপরে ভিত্তি করে দেশে বেশকিছু গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত এক বছরে দেশের ৯ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এবার সেখানেই লাগাম দিতে চায় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্র হোয়াটসঅ্যাপকে নির্দেশ দেয় ভারতে তাদের গ্রিভান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি কোনও মেসেজের উৎস কোথায় তা খুঁজে বের করার প্র‌যুক্তি চালু করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ তা করতে অস্বীকার করে। হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য, মেসেজের ওপরে নজরদারি চলালে তা কারও গোপনীয়তার ওপরে আঘাত করা হবে। এনিয়ে একটি মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।


কেন্দ্রের এক আধিকারিক এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘ভারতে ‌যেসব অনলাইন কেম্পানি ব্যবসা করে তাদের প্রত্যেকের প্রতিটি দেশে একটি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রয়েছেন। অনলাইনে হিংসা ছড়ানোর মতো কোনও বিষয়বস্তু ‌চলা বন্ধ না করার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গণহত্যার ওপরে একটি রিপোর্ট পেশ করে একটি মন্ত্রীগোষ্ঠীর কাছে। সেখানেও ওই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে খবর।


আরও পড়ুন-বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্নাকে ১০ লক্ষ টাকা, চাকরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর


কমিটির প্রধান ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব রাজীব গাউবা। তিনি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলেই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। রিপোর্টটি এখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দেওয়া বাকী। গাউবা সংবাদমাধ্যমে বলেন, হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার, ইউটিউবের মতো সোশাল মিডিয়ার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। সরকার এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করছে ‌যার মাধ্যমে ওইসব সোশাল মিডিয়ার করা কোনও আপত্তিকর বিষয়বস্ত সরিয়ে নেওয়া নির্দেশ দিতে পারে।