নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যভিচারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যভিচারে লিঙ্গ সাম্যের দাবিতে শীর্ষ আদালতে দাখিল হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর দাবি, ব্রিটিশ আমল থেকে কোনও পুরুষ পর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযুক্ত পুরুষের জরিমানা ও ৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এই আইনে পুরুষের সঙ্গে মহিলাকেও বিচারের আওতায় আনা হোক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যভিচার সংক্রান্ত ১৫৭ বছরের পুরনো আইনকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই আইনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পুরুষদেরই শাস্তির বিধান রয়েছে। অন্যদিকে বিবাহিত মহিলা পার পেয়ে যান। মামলাকারীর বক্তব্য, পুরুষটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যোগদান করেন মহিলাও। তিনি অপরাধের বিচার হয় না। সেক্ষেত্রে এই আইন তাঁর ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। জনস্বার্থ মামলকারী জোসেফ সাইনের বক্তব্য, শুধুমাত্র পুরুষ কেন, বিবাহিত মহিলার বিরুদ্ধে কেন আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না! কর্মসূত্রে ইতালির ট্রোন্টোতে থাকেন কেরলের বাসিন্দা জোসেফ সাইন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের মত জানতে চায় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এএম খানবিলকরের বেঞ্চ। 


আবেদনকারীর যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ কেন্দ্র। শীর্ষ আদালতে সরকার জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা ও ফৌজদারি প্রক্রিয়ায় ১৯৮(২) ধারা বাতিল করা সম্ভব নয়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিবাহকে পবিত্র বন্ধন বলে ধরা হয়। বর্তমানে ব্যভিচারের যে আইন রয়েছে, তা অক্ষত থাকাই শ্রেয়। বিবাহের পবিত্রতাকে রক্ষার জন্য ব্যভিচার আইনের বদল কাম্য নয়।  এই মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া চলতে পারে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চে। কেন্দ্র মত দিলেও বর্তমান সময় বিচারে ১৫৭ বছরের এই আইন কতটা যুক্তিযুক্ত, তা খতিয়ে দেখবেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। সুপ্রিম কোর্টের মত, ''প্রাথমিকভাবে আদালতের মনে হয়েছে ৪৯৭ ধারায় স্ত্রীকে অপরাধের শিকার হিসেবে ধার হচ্ছে। সেজন্য তিনি স্বস্তি পাচ্ছে। একটা অপরাধে যখন দুজনেই জড়িত তখন কীভাবে একজন  রেহাই পাবেন। সামাজিক অনুমানের ভিত্তিতে এই আইনের রূপায়ন বলে মনে হচ্ছে।''           


অনেকেই বলছেন, একই অপরাধে পুরুষ শাস্তি পাবে অথচ মহিলা পার পেয়ে পাবেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। 


আরও পড়ুন- সংগঠন বাঁচাতে এবার রামচন্দ্রের শরণে কেরল সিপিএম